সকল মেনু

নেতাগো জ্বালায় পারিনা, মন্ত্রীর ফোনও রিসিভ করিনা-সার্জেন্ট দাউদ ইব্রাহিম

 মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি বানিজ্যে হয়রানীর স্বীকার নানা পেশার মানুষ। নানা অজুহাতে দিনে দুপুরে এমন ঘটনা দেখা গেলেও পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও চাদাঁবাজি বন্ধ হচ্ছে না। শহরে প্রতিদিন শতশত মোটরসাইকেল আটক করে সন্ধ্যার পর ২ হাজার টাকা থেকে শুরু ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে অফিসার ইনচার্জকে না জানিয়ে বানিজ্য করছেন এ এস আই মহসীন ও সার্জেন্টসহ অধিকাংশ পুলিশ কর্মকর্তারা। কয়েকজন মোটরসাইকেলের মালিক পুলিশে হয়রানীর ভয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, জেলার বিভিন্ন সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে প্রতিদিন শত শত সাইকেল আটক করে সার্জেন্ট দাউদ ইব্রাহিম ও এ এস আই মহসীনসহ বিভিন্ন পুলিশ কর্মকর্তারা। আটকেরপর থানায় ও পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের সোর্স মাধ্যমে মোটর সাইকেলের মালিকের সাথে দামদরে পোষালে উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। সাইকেল মালিক উৎকোচ প্রদান করতে ব্যর্থ হলে কিছু থানায় আর অধিকাংশই পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার স্বীকার স্কুল শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও চাকুরীজিবী অনেকেই সাংবাদিকদের জানান, ট্রাফিক সার্জেন্ট দাউদ ইব্রাহিম হুমকী দিয়ে বলেন লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে সাইকেল চালাবেন আর আমরা কি চেয়ে দেখব। ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে মৌলভীবাজারে বদলী হয়েছি। আমি সবার ফোন ধরিনা। মন্ত্রী করলেও রিসিভ করিনা। প্রতিদিন আমরাতো কমই আয় করি অন্য খানে ৭০/৮০হাজার টাকা রোজগার হয়। নেতাগো আর সাংবাদিকদের জ্বালায় পারিনা। সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী ও স্কুল শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মোটর সাইকেল আটক করে উৎকোচ নিলেও অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করে পুলিশ সদস্যরা। ইতিপূর্বে মৌলভীবাজারে বিভিন্ন অভিযোগে অন্যত্র বদলী হওয়ার কিছুদিন পরে আবার উদ্ধর্তন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আবার মৌলভীবাজারে এসে সাধারন মানুষকে হয়রানী,চাদাঁবাজি ও মোটর সাইকেল আটক বানিজ্য শুরু করেছে এ এস আই মহসীন ও সাজের্ন্ট দাউদ।
অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোঃ তোফায়েল আহমদ জানান, ঘটনার স্বীকার ব্যক্তিরা লিখিত ভাবে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top