সকল মেনু

পর্যটন সমৃদ্ধ মৌলভীবাজারে পুলিশ নিরব;বেড়েছে চুরি,ছিনতাই ও ডাকাতি

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি,হটনিউজ২৪বিডি.কম,১২মে: মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলায় হঠাৎ করে বেড়ে গেছে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি। প্রতি রাতেই জেলার কোথাও না কোথাও ঘটছে এসব ঘটনা। ব্যস্ততম রাস্তায় ধারালো ও আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাইকারীরা ছিনিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন প্রবাসী অধ্যুষিত পর্যটন সমৃদ্ধ মৌলভীবাজার জেলার সাত উপজেলার মানুষজন। এসব ঘটনায়  জনমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, সারা জেলায় দু’একটি চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়,  সম্প্রতি শ্রীমঙ্গল শহরের মতিন মার্কেটের কৃত্তিকা সাউন্ড, ডিফরেন্ট টাচ,নন্দিতা ভিসিডি সেন্টার, সাইফুর রহমান মার্কেটের জান্নাত ফ্যাশন, মৌ গার্মেন্টস, এন এ ফ্যাশন, জাকির বস্ত্র বিতান, সেন্ট্রাল রোডের নাসির ট্রেডার্স, হবিগঞ্জ রোডে অধিকারী হার্ডওয়ার, পান্ত ইলেকট্রিক, র‌্যাব-৯ সংলগ্ন শ্রীমঙ্গল গেষ্ট হাউস, খাতুন ম্যানশনের সাত-সদাই, এর পাশের মার্কেটের সোহেল এ্যালুমিনিয়াম, মিতু ফ্যাশন, কলেজ রোডস্থ বরকনে সাজঘর এন্ড ভিডিও রেকর্ডিং সেন্টার, শ্যামা ষ্টুডিও, বউরানী বিউটি পার্লার, হবিগঞ্জ রোডস্থ সেবা এসি সেলুনে সংঘবদ্ধ চোর প্রবেশ করে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র দুস্কৃতিকারীরা চুরি করে নিয়ে যায়। ৩০ মার্চ শ্রীমঙ্গলের সিন্দুরখান ইউনিয়নের লাহারপুর গ্রামে নুহেল মেম্বারের বাড়িতে সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল কেসি গেইটের তালা ও ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দুই বছরের শিশু রাহি ও শাফির গলায় ছুরি ধরে বাড়ির সবাইকে বেঁধে আলমারি থেকে  প্রায় ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১৫ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন, ভিডিও ক্যামেরাসহ বেশ কিছু মালামাল লুটে নিয়ে যায়। ৩ মে শনিবার রাতে শ্রীমঙ্গল শহরের মৌলভীবাজার রোডস্থ আলী ট্রেড্রার্সের ২ ম্যানেজারকে কুপিয়ে দুটি চেক সহ আট লাখ টাকা ছিনতাই করেছে দূবৃর্ত্তরা।একই রাতে শ্রীমঙ্গলের কালাপুর বাজারে দুর্বৃত্তরা জম্মুন আহমেদকে (১৬) মারধোর করে নগদ ৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনতাই করে। একই রাতে উপজেলার  আশিদ্রোন গ্রামে ডাকাত প্রবেশ করলে স্থানীয় লোকজন জেগে উঠায় ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এর আগে গত সপ্তাহেও এ এলাকাতেই ডাকাতরা একটি বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় লোকজন দেখে মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত এসেছে ঘোষনা দিলে এলাকাবাসী প্রতিরোধের মুখে গড়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। ২৯শে এপ্রিল বাংলাদেশ চা গবেষনা কেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে এক মহিলা পর্যটকের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বুত্তরা। ২৬ এপ্রিল গভীররাতে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহা-সড়কের বিলাসেরপার এলাকায় গোপাল দেবের বাড়ীতে ডাকাতির  ঘটনা ঘটে। ৮/১০ জন মুখোশধারী ডাকাত বাড়ীর কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙ্গে ঘরের সবাইকে অস্ত্রের  মূখে জিম্মি করে একটি নাম্বারবিহীন ‘বাজাজ ডিসকোভার’ মোটর সাইকেল ও ৪টি মোবাইল সেটসহ নগদ ১৫/২০ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যায়। এর আগে রাত দুইটার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরতলীর উত্তররসুর শাহাজীবাজার এলাকায় সঞ্জয় রায়ের বাড়ীতে হানা দেয় ডাকাতদল। ওই বাড়ীর লোকজন জেগে উঠলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। ডাকাতদের কবল থেকে রেহাই পাননি কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম মিয়া। ৭ এপ্রিল রাতে তিনি শ্রীমঙ্গল থেকে কমলগঞ্জ ফিরছিলেন। শ্রীমঙ্গল- কমলগঞ্জ সড়কের টি রিসোর্টের কাছে রাবার বাগান এলাকায় সংঘবদ্ধ মুখোশধারী ডাকাতদল ইউএনওকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে তাঁর কাছ থেকে নগদ টাকা, একটি সোনার আংটি ও মোবাইল নিয়ে যায়। ডাকাতদের পিটুনিতে ইউএনও’র ডান হাতের আঙ্গুলে গুরুতর আঘাত পান। ১০ মে রাত দুইটার দিকে গ্রীলের কেচি গেইট কেটে শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগর মনিপুরিবস্তির চিনুদাশের বাড়িতে দেবস্থলীর পিতলের তৈজসপত্র চুরি সংঘটিত হয়। চিনুদাশ জানান, চোরেরা ২টা পিতলের মুর্তি ও ঘটি,১ডঁ দশ ইঞ্চি লম্বা মুর্তি,পিতলের হাতে বাজার ঘন্টা, পিতলের ৬টি থালি, ৬টা গ্লাস নিয়ে যায়।
কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের ভরতপুর গ্রামের তোতা মিয়ার বাড়িতে ৫ মে সোমবার ভোর রাতে মুখোশধারী ডাকাত প্রবাসি বাড়ির লোকদের বেঁধে মারধোর করে নগদ টাকা সহ মালামাল লুট করে।এছাড়া কমলগঞ্জ পৌর এলাকার ভানুগাছ বাজার চৌমুহনীতে মেসার্স তান্নি মুন্নি এন্টারপ্রাইজের দরজার কড়া ভেঙে দুধর্ষ চুরি হয়েছে। ১৬ মার্চ রোববার ভোর রাতে দরজার তালা ভেঙে নগদ অর্থ সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চোরেরা লুটে  নিয়ে যায়। একই রাতে এ গ্রাম থেকে তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমান চুরি হয়। ২০ মার্চ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একই ইউনিয়নের ভাদাইর দেউল গ্রাম থেকে আরেকটি ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে।
১ ফেব্রুয়ারী শনিবার ভোরে মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার মনুমুখ ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে ব্যবসায়ী মনির মিয়ার বাড়িতে ডাকাতি হয়। ডাকাতিতে বাঁধা দেওয়ায় ডাকাতদের গুলিতে মনির মিয়ার ছেলে ছালিকুর রহমান(৪৫), রুমন মিয়া(১৯), সুমন আহমদ(১৮) গুলিবিদ্ধ হন। এদের মধ্যে ছালিক মিয়া মাথায় গুলি লাগায় তাকে আশংঙ্কাজনক অবস্থায সিলেট এমএজি ওসমানি হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকী আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ডাকাতরা ভোর ৩টার দিকে ১০/১৫ জনের একদল ডাকাত মনির মিয়ার বাড়ির গেটের তালা এবং দরজার সিটকিনি ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে। পরিবারের লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা ৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১০টি মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৪ লাখ টাকার মালপত্র লুটে নিয়ে যায়।
৩১ মার্চ  গভীর রাতে বড়লেখায় দুই ব্যবসায়ীর বাড়ীতে র্দুর্ধষ ডাকাতি হয়। ডাকাতরা পরিবারের লোকজনকে বেঁধে মারধর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ পঁচিশ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনার পর পুলিশ লুন্ঠিত মালামালের মধ্যে একটি গলার চেইন, কানের দুল ও একটি ম্যাগনেট টর্চলাইট উদ্ধার করে।
৩১মার্চ গভীর রাতে বড়লেখার দক্ষিনভাগের রাঙ্গাউটি গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুই সহোদর দীপেশ পাল ও পরেশ পালের বাড়িতে ১৫/২০জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘরের দরজা ভেঙ্গে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে। ডাকাতরা দু’ভাইয়ের ঘরের সাতটি  কক্ষে ঢুকে সবাইকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা, ৪০ভরি স্বর্ণালংকার সহ, ১৬টি মোবাইল সেট সহ প্রায় পঁচিশ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
১২ মার্চ গভীর রাতে বড়লেখার পাথারিয়া চা বাগানের হেডক্লার্ক হরেন্দ্র সিংহের গজভাগ গ্রামের বাড়ীতে ৭/৮ জনের মুখোশধারী ডাকাত দরজা ভেঙ্গে ঘওে ঢুকে অস্ত্রের মুখে লোকজনকে একটি কক্ষে আটক রেখে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ১০ হাজার টাকা, ৩ টি মোবাইল ফোনসেটসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বড়লেখা উপজেলার প্রবাসী অধ্যুষিত সুজানগর ইউনিয়নের উত্তর সুজানগর গ্রামের সাবেক ইউপি মেম্বার আতিকুর রহমানের বাড়ীতে র্দুর্ধষ চুরি হয়। গৃহকর্তার দাবি, চোরেরা ঘরের তালা ভেঙ্গে ঢুকে আলমারি থেকে জমি রেজিস্ট্রির জন্য রাখা  ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ৩শ’ ব্রিটিশ পাউন্ড, ২শ’ মার্কিন ডলার ও ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায় মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়।
জুড়ী উপজেলার পশ্চিমজুডী ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে রমিজ উদ্দিন নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে ৫ মে দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ব্যবসায়ীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, ১০-১৫ জনের ডাকাত দল রমিজের বাড়িতে হানা দেয়। মুখোশধারী ডাকাতেরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পরিবারের লোকজনকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে পরে তারা অস্ত্রের মূখে ভয় দেখিয়ে আলমাির খুলে প্রায় ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও আড়াই লাখ টাকা নিয়ে সটকে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বড়লেখা উপজেলার সীমান্তবর্তী উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের ভাটাউচি গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আজির উদ্দিনের বাড়ীতে রাতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ১৫/২০ জনের মুখোশধারী ডাকাতদল ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালায় ও বাড়ীর লোকজনকে বেধে মারধর করে সাড়ে তিন লাখ টাকা, ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার, তিনটি মোবাইল ফোনসেটসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।
১৭ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে বড়লেখা পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজারের দীপালো ট্রেডার্স, হেলাল বস্ত্র বিতান ও দেব ট্রেডার্সে চোরেরা তালা ভেঙ্গে টাকাসহ ছয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
২৮ জানুয়ারী বড়লেখা উপজেলার সাতকরাকান্দি গ্রামের কাতার প্রবাসী আহমদ আলীর বাড়ী থেকে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের বেঁধে ও মারধর করে ৪৫ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
৫ মে সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামে মরহুম রমিজ পোদ্ধারের বাড়ীতে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের মুখে পরিবারের সকলকে জিম্মি করে ৬০ভরি স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
সম্প্রতি রাজনগর উপজেলায় ১০ দিনের ব্যবধানে চারটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বিচ্ছিন্নভাবে এসব ঘটনায় ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ মোট ১০ লাখ টাকা, দেড়শ’ ভরি স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এর মধ্যে উপজেলার শালন গ্রামের আকবর খানের বাড়িতে গভীর রাতে ১৫-১৬ জনের একদল ডাকাত হানা দেয়। ঘরের সামনের গ্রীলের তালা ভেঙ্গে ঢুকে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মিকরে নগদ ৩ লাখ টাকা ৮ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫টি মোবাইল ফোনসেট লুট করে নিয়ে যায়। আকবর খানের স্ত্রী সোনাবান বিবির (৬০) কান থেকে দুল ছিড়ে নেয়। মালামাল লুট শেষে পালানোর সময় আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ডাকাতরা এক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পরে রাজনগর থানা পুলিশ ডাকাতের ছুড়া গুলির খোসা উদ্ধার করে। ২৬ মার্চ রাতে উপজেলার তুলাপুর গ্রামে নওশা মিয়ার বাড়িতে ঢুকে ১৫-১৬ জনের ডাকাতদল নগদ ২৫ হাজার টাকা ও ১২ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। ২৮ মার্চ রাতে টেংরা ইউনিয়নের রন্টু পালের বাড়িতে ৮-১০ জনের ডাকাতদল হানা দিয়ে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এ সময় ডাকাতের হামলায় মহিলা সহ ৩ জন আহত হন। ২ এপ্রিল রাতে বেড়কুড়ি গ্রামের রানা মিয়ার বাড়ি থেকে ১৫-২০ জনের ডাকাতদল ১১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ চারটি ঘটনায় ডাকাতরা ১৯টি মোবাইল ফোন লুট করে। অপরদিকে উপজেলার ফতেপুর ইউপির বেড়কুড়ি গ্রামে রানা মিয়ার বাড়িতে ২ এক্রিল বুধবার রাত দুটায় ১৫/১৬ জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত বারান্দার গ্রীল কেটে রানার মিয়ার ঘরে ঢুকে বাড়ীর লোকজনকে হাত-পা বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রেখে আলমারী থেকে ১১০ ভরি স্বর্ণ, নগদ ২লক্ষ টাকা ও ৫টি মোবাইল নিয়ে যায়।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ভুজবল গ্রামে গত ৫ এপ্রিল সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর অ্যাসিসটেন্ট প্রাইভেট সহকারী সেক্রেটারি (এপিএস) শ্রীকান্ত ধরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভোর ৪টার দিকে ১৬/১৭ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত জানালার গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১৮ ভরি স্বর্ণ, নগদ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা, তিনটি মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যায়।
২৯ এপ্রিল গভীর রাতে মৌলভীবাজার পৌর এলাকার হিলালপুরে ডাকাতের গুলিতে যুবলীগ নেতা সদর উপজেলা যুবলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম নিহত হন। এ সময় ডাকাতের হামলায় মহিলা সহ ৫জন আহত হন। ডাকাতরা আলমিরা ভেঙে নগদ ৪৫ হাজার টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে। এ সময় বাড়ীর লোকজনের চিৎকারে পার্শবর্তী এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে ডাকাতরা গুলি ছোড়ে।
৫ মে ভোরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের শাহবন্দর এলাকায় একই রাতে সাত দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। শাহবন্দর পয়েন্ট এলাকায় এ চুরির ঘটনা ঘটে। দোকান গুলো হলো- তারেক স্টোর, শাহাজালাল এন্ট্রারপ্রাইজ, সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ, সানি স্টোর, মামনি স্টোর, তপু স্টোর, কাওছার স্টোর।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার মো.তোফায়েল আহমেদ মুঠো ফোনে বলেন, সারা জেলায় দু’একটি চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো ঘটেছে সেগুলো আমরা ডিটেক্ট করে ফেলছি। চুরি ডাকাতি ও ছিনতাই রোধে পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top