সকল মেনু

কর্নেল রাশেদের চাঁদপুরের সম্পত্তি জব্দ করলো হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

 শাহ মোহাম্মদ মাকসুদুল আলম, চাঁদপুর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি  অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরীর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে অবস্থিত গ্রামের বাড়ির পৈত্রিক সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সোমবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬ নম্বর পূর্ব বড়কূল ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি গ্রামে  স্থানীয় প্রশাসন জব্দকৃত সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড ও লাল পতাকা টাঙিয়ে দেয়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা একে অপরকে মিষ্টিমুখ করায়।পৈত্রিক মোট ৯ একর ২৫ শতাংশ জমির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরীর প্রাপ্ত ১ একর ১৫ শতাংশ জমি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজ, হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আঃ হানিফ, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহ আলমসহ উপজেলা ও  পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বঙ্গবন্ধু হত্যায় দন্ডিত সেনা কর্মকর্তা এ এম রাশেদ চৌধুরীর সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ পাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন প্রথমদিকে রাশেদ চৌধুরীর পরিবারের সম্পদ সনাক্ত করে। এরপর সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজ পুলিশসহ  রাশেদ চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে তার প্রাপ্ত সম্পত্তিতে লাল পতাকা ও  সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেয়। রাশেদ চৌধুরীর পিতার নাম শিহাব উদ্দিন চৌধুরী। শিহাব চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় মুসলিম লীগের সমর্থক ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর জামাতের রাজনীতির সাতে সম্পৃক্ত হন। মরহুম শিহাব উদ্দিন চৌধুরীর সম্পত্তির ওয়ারিশ হলেন রাশেদ চৌধুরীসহ আট ভাই ও এক বোন। টাস্কফোর্সের নির্দেশে সম্পত্তির বণ্টননামার ভিত্তিতে রাশেদ চৌধুরী প্রাপ্য জমি পৃথক করে তা ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।রাশেদ চৌধুরীর বাবা মরহুম শিহাবউদ্দিনের সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইউপি সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক ও তৎকালীন আ’লীগ নেতা আঃ লতিফ মাষ্টারের একটি স্কুল নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাশেদ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আগে ওই মাষ্টারকে বাড়ি থেকে ধরে নিযে যেয়ে হত্যা করে লাশ ফেনীর ছাগলনাইয়া ব্রিজের নিচে ফেলে রেখেছিল্। সেই হত্যকান্ডের আজো বিচার পায়নি তার পরিবারের সদস্যরা। হাজীগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ আঃ হানেফ জানালেন, সম্পত্তি ক্রোকের আদেম কার্যকর করার পর তারা সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছেন। পুলিশের জিম্মায় এই সম্পত্তি থাকবে। উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনা আফরোজ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই কাজটি করতে পারায় তারা অত্যন্ত খুশী। কারণ, আদালতের এই আদেশ কার্যকর করার মধ্য দিয়ে আইনগত একটি পক্রিয়া শেষ করার পাশাপাশি একটি নৈতিক দায়িত্বও পালন করা হল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top