সকল মেনু

সারা মাপেলি মৌমাছির রানি

 ডেস্ক রিপোর্ট,ঢাকা, ২৭ এপ্রিল : মৌমাছি তার বুকটা ঢেকে রেখেছে বক্ষবন্ধনীর মতো! দেখলে কার না পিলে চমকায়! অবশ্য কেউ কেউ প্রশ্নও করতে পারেন- এও কি সত্যি?

সত্যি তো বটেই। প্রকৃতিতে এমন কিছু ঘটনা দেখা যায়, যা বিশ্বাস করতে মানুষ বারবার ধাক্কা খায়। অনেক প্রশ্নের বেড়ি পার হয়ে অবশেষে মানুষ তা বিশ্বাস করে।

ঠিক তেমন একটি আশ্চর্যঘেরা ঘটনা। একজন নারী বক্ষবন্ধনী হিসেবে ব্যবহার করেন মৌমাছি। এর সংখ্যাও নাকি তার হিসাব করা। গুনেগুনে ১২০০ মৌমাছি। এ মৌমাছির ঝাঁক ওই নারীর গলা থেকে নাভি পর্যন্ত এমনভাবে আবৃত করে বসে পড়ে, যা অনায়াশে বক্ষবন্ধনীর কাজ করে।

কে দেখেছেন এমন ঘটনা! অবশ্য মিডিয়াতে আসার আগে ওই নারীর একান্ত পরিচিতজন ছাড়া কেউ এ ঘটনা দেখেননি বলে ডেইলি মেইল জানিয়েছে।

ডেইলি মেইল এ আশ্চর্য ঘটনার ওপর শনিবার একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছেপেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৌমাছি দিয়ে বক্ষবন্ধনী তৈরি করা ওই নারীর প্রতিমুহূর্তের কাজ। মৌমাছিগুলো তার পালা। এগুলো বক্ষদেশ আবৃত করলেও তিনি কখনো হুলের যন্ত্রণায় কাতর হননি। এটিই বোধ হয় সবচেয়ে আশ্চর্যের, নয় কি?

আরো কিছু বলার আগে জেনে নেওয়া যাক ওই নারীর নাম-ধাম-পরিচয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওরিজন রাজ্যে তিনি যেখানে বাস করেন সেখানে সম্প্রতি তিনি ‘মৌমাছির রানি’ হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তার নাম সারা মাপেলি। বয়স ৪৪ বছর।
সারা মাপেলি পেশায় একজন শিল্পী। ২০০১ সালে তিনি মৌমাছি দিয়ে বক্ষবন্ধনী তৈরির কৌশল আয়ত্ত করেন। এরপর থেকে তা চলছে। ঘরে কি বাইরে অথবা পার্কে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, সব জায়াগাই তিনি মৌমাছির বক্ষবন্ধনী নিয়ে চলাফেরা করতে পারেন।
মৌমাছির ঝাঁক যখন তার বুক আবৃত করে তখন তিনি ধর্মীয় নাচের ঢঙে নাচতে পছন্দ করেন। মাপেলি বলেন, এ নাচ তার জন্য মেডিটেশন হিসেবে কাজ করে।

মাপেলি তার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে লিখেছেন, মৌমাছি তার বুক ঢেকে ফেলার পর তিনি অপর একজনের সঙ্গেও নাচতে পারেন। মৌমাছিগুলো তাকে ছাড়া আর কাউকে হুল ফোটায় না।

মজার ব্যাপার হলো, যে ১২০০ মৌমাছি মাপেলির বুক ঢেকে ফেলে সেগুলো স্বভাবজাতভাবেই হুল ফোটায়। কিন্তু মেডিটেশনের কারণে মাপেলি তা সহ্য করতে পারে। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

মৌমাছিগুলো গায়ে ভেড়ানোর জন্য তিনি এক ধরনের তেল ব্যবহার করেন। এ তেল নাকি ১০০ রানি মৌমাছি থেকে পাওয়া সুগন্ধির মতো তীব্র গন্ধযুক্ত। মাপেলির গায়ে মৌমাছি আবৃত হওয়ার পর একটানা দুই ঘণ্টা সেগুলো রাখতে পারেন তিনি।

নিজের এই অদ্ভুত ক্ষমতার প্রমাণ দিয়ে একটি ভিডিওচিত্র  পোস্ট করেছেন মাপেলি। সেখানে তিনি এও লিখে দিয়েছেন, কেউ যেন বাড়িতে এ কাজ করার চেষ্টা না করেন।

তবে যাই হোক, মাপেলির এ ক্ষমতা সত্যিই এক নতুন বিস্ময়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top