সকল মেনু

নববর্ষে ভোলায় ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া

 এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা: রাত পেরিয়ে সকাল হলেই পহেলা বৈশাখ। বাংলা ১৪২১ সালের প্রথম দিন। আর বৈশাখের সকালটা পান্তা-ইলিশ দিয়ে বরণ করা বাঙালির সংস্কৃতির ঐতিহ্য। ফলে নববর্ষের উৎসবকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ভোলার বাজারে ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া। বাজারে মাঝারি আকারের কিছু ইলিশ পাওয়া গেলেও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। তবে বড় আকারের ইলিশের দেখা মিলছে না কোথাও।  পহেলা বৈশাখ সামনে রেখে ঢাকা, বরিশাল, ও চাঁদপুরের আড়তদারেরা ভোলার ইলিশ চওড়া দামে কিনে মজুত করে দেশ ও দেশের বাইরে পাঠাচ্ছে। ফলে মার্চ ও এপ্রিল ২ মাস ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকার, ক্রয়-বিক্রয় ও বহনের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপক্ষো করে ইলিশ শিকাওে মেতে উঠেছেন জেলেরা।
সরেজমিনে জেলা শহরের মাছ বাজার ও বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, মাছ বাজারগুলোতে জেলেদের কাছে ছোট ইলিশ থাকলেও বড় আকারের ইলিশ নেই। আর ছোট ইলিশের দামও সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এর পরও পহেলা বৈশাখ উদযাপনে পান্তা-ইলিশের স্বাদ নিতে স্থানীয় বাজাওে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এসময় ভোলার মাছ বাজারে ক্রেতা বাহাউদ্দিন বলেন, কিছু অসাধু মাছ ব্যবসায়ী ক্রেতাদের কাছ থেকে গলাকাটা দাম নিতে বাজারে ইলিশের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। অপর মাছ বিক্রেতা মোঃ ইব্রাহিম বলেন, পাইকারী বাজারে বেশি দাম দিয়ে আমাদের ইলিশ কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারেও ইলিশের দাম বেশি।
কোড়ারহাট মাছঘাটে গিয়ে কথা হয় আড়ৎদার রিপন হাওলাদারের সাথে। তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে পাইকারী বাজারে ২শ’ ৫০ থেকে ৫শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশের হালি (চারটি) বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। ৫শ’ থেকে ৯শ’ ৫০ গ্রামের ইলিশের হালি ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আর ১ কেজির বেশি ওজনের এক হালি ইলিশ ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই জেলেরা দিন-রাত মেঘনায় ইলিশ শিকারে ধরছে। সেই মাছ রাতে লঞ্চ, ট্রলার ও ট্রাকযোগে ঢাকা, বরিশাল ও চাঁদপুরের মোকামে যাচ্ছে। ফলে ভোলার বাজারে ইলিশ সংকট চলছে।
জেলা নাগরিক কমিটির নেতা মোবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকার, ক্রয়-বিক্রয় ও বহনের উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে ইলিশ শিকার করছে জেলেরা। অবৈধভাবে ইলিশ শিকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপাওে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিশ কুমার মল্লিক বলেন, নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ৮ মাস জাটকা সংরক্ষণের মৌসূম। তাই অবৈধ্য মাছ ধরা বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যহত রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top