সকল মেনু

আ.লীগ-৫৪, বিএনপি-১৩, অন্যান্য ৬

ঢাকা, ১ এপ্রিল (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : পঞ্চম ধাপে দেশের ৭৩ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে সবকটি উপজেলার ফলই পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৫৪টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১৩টিতে বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী এবং ৬টিতে অন্যান্য প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

যেসব উপজেলায় আ.লীগ সমর্থিতরা জয়ী

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার ৪ হাজার ১৫৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী উথিন সিন মারমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জনসংহতি সমিতি সমর্থিত বুলক্ষ্য মারমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৬১৭ ভোট।

পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল কাদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৮৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত ফজলুর রহমান ফকির পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১০৭ ভোট।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ জাফর আহমদ। তিনি পেয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭০ ভোট। আর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. আবদুল্লাহ পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬২৯ ভোট।

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার আনারস প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ১৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত কাদের কবীর উজ্জ্বল দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৬৮৪ ভোট।

মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা ২৬ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মো. আছকির খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-সমর্থিত মো. জামি আহমদ পেয়েছেন ১৯ হাজার ৪০৬ ভোট।

জেলার জুড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত এম এ মুমিত আসুক ৩১ হাজার ৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত নাসির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২২ হাজার ৮০৯।

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. ওবায়দুর রহমান বেলাল। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ২৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ফায়জুল ইসলাম লাঞ্জু পেয়েছেন ৯ হাজার ৯৫১ ভোট।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আসাদুল হক। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার ৫৩০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩ ভোট।

জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হেলালউদ্দীন ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৫১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শহীদুল কাওনাইন টিলু পেয়েছেন ২৬ হাজার ৭৫ ভোট।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু নির্বাচিত হয়েছেন।

জেলার চান্দিনা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তপন বকসী।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শাহজাহান ভূইয়া চেয়ারম্যান হিসেবে ১ লাখ ১১ হাজার ২২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান আকন্দ ৩১ হাজার ৭০৪ ভোট পান।

আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া ১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গাজী মাসুদ মিলন পেয়েছেন ১০ হাজার ৪১৪।

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাইফুল ইসলাম খাঁন বীরু ৪১ হাজার ৬৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সর্দার মোয়াজ্জেম হোসেন বুলবুল পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৫৫ ভোট।

জেলার রায়পুরা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত মিজানুর রহমান চৌধুরী ৮০ হাজার ৮২১ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফজলুল হক পেয়েছেন ৫৬ হাজার ১৮০ ভোট।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী প্রফেসর আজাদ রহমান ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৩৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত ইকবাল হোসেন হীরু পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৪৪ ভোট।

জেলার বেলকুচি উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আকন্দ ৪০ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত সমর্থিত রফিকুল্লাহ খন্দকার পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৬৭ ভোট।

বগুড়া সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলী আজগর তালুকদার হেনা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সুলতান মাহমুদ খান রনি পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৬৮ ভোট।

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ ৫৮ হাজার ৫৬৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফজলুল হক বাগমার নয়ন পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৩৪ ভোট।

জেলার শ্রীপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল জলিল ৭৪ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল মোতালেব পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৯৬৬ ভোট।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সর্মথিত আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন ৬৯ হাজার ৩২৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সর্মথিত প্রার্থী ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৪৭ ভোট।

জেলার গফরগাঁও উপজেলায় আওয়ামী লীগ সর্মথিত আশরাফ উদ্দিন বাদল ১ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সর্মথিত মো. মুশফিকুর রহমান পেয়েছেন ২২ হাজার ৭১৪ ভোট।
যেসব উপজেলায় বিএনপি-সমর্থিতরা জয়ী

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত সরওয়ার জাহান চৌধুরী ৪১ হাজার ৯৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের হুমায়ুন কবির চৌধুরী পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮৮৬ ভোট।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল ২৭ হাজার ৩০৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিহটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আনিসুল হক পেয়েছেন ২০ হাজার ৩২৮ ভোট।

জেলার বিশ্বম্ভর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হারুন উর রশীদ ২৪ হাজার ৭১৬ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিলিপকুমার বর্মন পেয়েছেন ২৯৭ ভোট।

দিনাজপুরের হিলিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আকরাম হোসেন মন্ডল ২০ হাজার ৪০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হারুন উর- রশিদ পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৮ ভোট।

জেলার পার্বতীপুরে বিএনপি সমর্থিত প্রাথী আমিনুল ইসলাম  ৬৭ হাজার ২২৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রাথী হাফিজুর ইসলাম প্রামানিক ভোট পেয়েছেন ৬২ হাজার ৭৯৭।

জেলার হাকিমপুরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আকরাম হোসেন মন্ডল ২০ হাজার ৪০ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হারুনুর রশীদ হারুন পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৮ ভোট।

বিরল উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রাথী আ.ন.ম.বজলুর রশিদ কালু  ৫৩ হাজার ১৫৪ ভোট পেয়েছেন  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রাথী ডা. মানবেন্দ্র রায় মানব ভোট পেয়েছেন ৪৭ হাজার ১০২।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান ৫২ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোশারফ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৪১ হাজার ৩৪ ভোট। এ উপজেলার পাঁচটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত রয়েছে। যেখানে ভোট রয়েছে ১২৩৭১টি।

নরসিংদী সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব মনজুর এলাহী ১ লাখ ৮ হাজার ৯৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত তামান্না নুসরাত বুবলী পেয়েছেন ৯০ হাজার ৮৩০ ভোট।

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. তোফাজ্জল হোসেন ৯ হাজার ৫৮৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হাজি ফয়েজুল আজিম পেয়েছেন ৮ হাজার ৮০৮ ভোট।

ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় বিএনপি সর্মথিত প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ৬৪ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সর্মথিত আব্দুল মতিন সরকার পেয়েছেন ৫২ হাজার ৩১১ ভোট।

অন্যান্য দল-সমর্থিত যারা জয়ী হলেন

রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনসংহতি সমিতি সমর্থিত প্রার্থী অরুন কান্তি চাকমা ২২ হাজার ১৫৯ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মাহবুবুল বাসেত অপু পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৯৭ ভোট।

জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় জনসংহতি সমিতি সমর্থিত শুভমঙ্গল চাকমা ৫ হাজার ৫০৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন জয় সেন।

কক্সবাজার সদর উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত জিএম রহিমুল্লাহ ৪১ হাজার ৬৪৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুল মাবুদ পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫১৬ ভোট।

রাজশাহীর পবা উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী  মোকবুল হুসাইন ৬৫ হাজার ৮৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মুনসুর হোসেন পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৪৩ ভোট।

দেশের ৭৩ উপজেলায় ৫ হাজার ৫৩৪টি কেন্দ্রে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়।

সহিংসতা, ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগে এর মধ্যে ৫টি উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়। এগুলো হলো বরগুনার আমতলী উপজেলার সাতটি কেন্দ্র, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চারটি, ফেনীর ছাগলনাইয়ার দুইটি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে পাঁচটি এবং নরসিংদীর সদরের একটি কেন্দ্র।

ভোট গ্রহণ শুরুর কয়েক ঘণ্টা পর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরাট করা, বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের বিতাড়িত করার ‘মহাযজ্ঞ’ চলছে।

বিএনপির এই নেতা আরো অভিযোগ করেন, শাসক দল ও নির্বাচন কমিশনের মিলিত চক্র উপজেলা নির্বাচনে ভোট ডাকাতির বন্দোবস্ত করেছে।

তবে সন্ধ্যায় পঞ্চম দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চতুর্থ দফার চেয়ে সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক। নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আবদুল মোবারক বলেন, ‘গত বারের তুলনায় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তাই আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।’

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার তথ্য অনুযায়ী পঞ্চম ধাপের ৩৪ জেলার ৭৩টি উপজেলায় ভোটযুদ্ধে লড়েছেন ১ হাজার ৫৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৬২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৪১৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৬ জন প্রার্থী ছিলেন।

এসব উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ১ কোটি ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ৭৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ২৬৯ জন এবং মহিলা ভোটার ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ৪৮২ জন। তারা ৫ হাজার ৫৩৪টি কেন্দ্রের ৩৪ হাজার ৮৮৫টি ভোটকক্ষে ভোট দেন।

এ ধাপের নির্বাচনে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও উপনির্বাচনের কারণে ভোট হয়নি। আবার গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভোট এই দিনই নেওয়া হয়। এ উপজেলার নির্বাচন চতুর্থ ধাপে হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে, সীমানাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top