সকল মেনু

নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ২২ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : চীনা স্যাটেলাইট ভারত মহাসাগরে একটি বস্তুর চিত্র দেখতে পেয়েছে, যেটি নিখোঁজ মালয়েশীয় বিমানের সম্ভাব্য ধ্বংসাবশেষ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন স্যাটেলাইটে পাওয়া চিত্রগুলো পরীক্ষা করে দেখছে দেশটি।

২৩৯ জন আরোহী নিয়ে ভিয়েতনামের আকাশসীমা থেকে বোয়িং-৭৭৭ বিমানটি নিখোঁজের ১৫ দিন পার হলেও তার সন্ধান মেলেনি।

মালয়েশিয়ার পরিবহণমন্ত্রী হিশামুদ্দিন হোসেন শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চীনের স্যাটেলাইটে ধারণ করা চিত্রে যে বস্তুটি দেখা যাচ্ছে- তা প্রায় ২২ মিটার দীর্ঘ। চীন সরকার এখন চিত্রগুলো পরীক্ষা করে দেখছে। দেশটি শিগগিরই সে এলাকায় তদন্তের জন্য জাহাজ পাঠাবে।

তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ দিকে একটি জায়গায় ওই বস্তুটি খুঁজে পাওয়া গেছে।

এর কয়েকদিন আগে প্রকাশ করা সাটেলাইট চিত্রে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের পার্থ শহর থেকে প্রায় ১৩শ’ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে দুটি বস্তু সাগরে ভাসতে দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি এ্যাবট একে নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ হতে পারে বলে জানান।

এরপর দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদার করা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে উড়তে পারে এমন বিমান এই অনুসন্ধানে যোগ দেয়। এতে আরো কাজ করছে অস্ট্রেলিয়ান নৌবাহিনীর নৌযান এবং কিছু বাণিজ্যিক জাহাজ।

অস্ট্রেলিয়ান একজন বৈমানিক বলেন, মেঘ এবং কুয়াশার জন্য সাগরের দুর্গম ওই এলাকাটির পরিস্থিতি অনুসন্ধানের খুব অনুকুল নয়। নিখোঁজ বিমানের সন্ধানে এখনো পর্যন্ত ২৬টি দেশ যুক্ত হয়েছে।

এরআগে সোমবার মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী আহমেদ জাওহারি ইয়াহিয়া বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিমানটির কো-পাইলট ফরিদ আবদুল হামিদ বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগমুহূর্তে ‘সব ঠিক আছে, শুভরাত্রি’ শব্দগুলো উচ্চারণ করেন।

তার আগে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে বিমানের যোগাযোগ সিস্টেম বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর প্রায় আট ঘণ্টা বিমানটি আকাশে ওড়ে। তখন বিমানটির ছিনতাই হওয়ার আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রী উড়িয়ে দেননি।

গত ৭ মার্চ মালয়েশিয়ার সময় রাত পৌনে ১টার দিকে বোয়িং-৭৭৭ বিমানটি ২৩৯ আরোহী নিয়ে বেইজিংয়ের উদ্দেশে কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রা করে। এর এক ঘণ্টা পর ভিয়েতনামের আকাশসীমায় বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তখন বিমানটি ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থান করছিল।

বিমানটিতে ১৪টি দেশের নাগরিক ছিলেন। এর মধ্যে ১৫২ জন চীনা, ৩৮ জন মালয়েশীয়, ১২ জন ইন্দোনেশীয় এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন ছয়জন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top