সকল মেনু

তৃতীয় পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি : ইডব্লিউজি

ঢাকা, ১৮ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় দফার নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে দাবি করেছে ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)। তৃতীয় দফার নির্বাচনে সারাদেশে ৮১টি উপজেলায় মোট ২ হাজার ৩৩৬টি ভোটকেন্দ্রে সমসংখ্যক পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে ব্যাপকভাবে পর্যবেক্ষণের পর প্রাথমিক বিবৃতিতে এ দাবি করে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)’ তাদের প্রাথমিক বিবৃতি তুলে ধরেন।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইডব্লিউজি’র পরিচালক মো. আব্দুল আলীম। বক্তব্য দেন ইডব্লিউজি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আহসান কলিম উল্লাহ, তালেয়া রহমান, হারুন অর রশীদ প্রমুখ।

ইডব্লিউজি’র পরিচালক মো. আব্দুল আলীম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। এ সময় ক্রমাগত সহিংসতা বেড়েছে বলে মনে হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়কে মোটামুটি ও তুলনামূলক অবাধ ও সুষ্ঠু বলা গেলেও তৃতীয় পর্যায়কে বলা যায় না। এ নির্বাচনে যেভাবে সহিংসতা, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া ও ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে, এতে এ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু বলা যায় না।

তাদের অভিযোগ: বহুসংখ্যক নির্বাচনী কেন্দ্রে ব্যাপক সহিংসতা, ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অন্যান্য সহিংসতার কারণে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সততা অনেকাংশেই ক্ষুন্ন হয়েছে।

ইডব্লিউজি’র তথ্য মতে, সারাদেশের ৫৪টি উপজেলার ২৫৮টি কেন্দ্রে সহিংসতা হয়েছে। ৩৮টি উপজেলার ১৪৩টি কেন্দ্রে ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো হয়েছে। ১০টি উপজেলার ১৪টি কেন্দ্রে ভোট প্রদানে বাধা প্রদান করা হয়েছে। ২২টি উপজেলার ৭৭টি কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়েছে। ৪৯টি উপজেলার ৯০টি কেন্দ্রে ভোট পর্যবেক্ষকদের ভোট গণনা প্রক্রিয়া দেখতে দেয়া হয়নি। ৩৪টি উপজেলার ৮৭টি কেন্দ্রে আইন অমান্য করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো হয়েছে।

ইডব্লিউজি’র দাবি, ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলায় তাদের পর্যবেক্ষকে নির্বাচনের আগের দিন অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে না মর্মে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই ধাপের নির্বাচনে ভোট প্রদানের গড় হার ছিল ৬৪.৬ শতাংশ।

ইডব্লিউজি’র বিবৃতিতে- ভূমিকা এবং পর্যবেক্ষণের পরিধি,  ফলাফল, ভোটকেন্দ্র খোলার সময়কাল পর্যবেক্ষণ, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম এবং সহিংসতা, ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা ও ভোট গণনা, পর্যবেক্ষণে বাধা বিপত্তি প্রভৃতি বিষয় পর্যবেক্ষণে তুলে ধরা হয়। তারা তাদের এ বিবৃতিকে একটি প্রাথমিক বিবৃতি বলে জানান।

অধিকতর তথ্য সম্বলিত বিস্তারিত প্রতিবেদনটি পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে বলেও জানানো হয়।

ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া জোরদার করার লক্ষ্যে ২০০৬ সালে বাংলাদেশের ২৯টি প্রতিষ্ঠিত সিভিল সোসাইটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান/সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top