চল্লিশ ফুট (১২ মিটার) উঁচু ‘হিলারি ধাপ’ প্রথম এভারেস্ট বিজয়ী এডমন্ড হিলারির সম্মানে নামাঙ্কিত৷ ১৯৫৩ সালে তেনজিং নোরগের সঙ্গে নিউজিল্যান্ডবাসী হিলারি এই শৃঙ্গ জয় করেন৷
গত সপ্তাহেই এভারেস্ট অভিযানের আয়োজকরা জানিয়েছিলেন, যে সব বরফের দেওয়ালে ওঠার সময় ভিড় হয়, সেখানে বাড়তি দড়ির ব্যবস্থা থাকবে৷ এই ভিড়ের জন্যই পর্বতারোহীদের এভারেস্টে উঠতে দেরি হয়ে যায়৷ আরও এক কদম এগিয়ে নেপালের পর্যটন মন্ত্রক বলেছে ভিড় কমাতে এবং পর্বতারোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এখন থেকে সিঁড়ি রাখা হবে৷
পর্যটন মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র মোহনকৃষ্ণ সপকোটা বলেন ‘এপ্রিল থেকে জুন হল এভারেস্টে ওঠার ভরা মরসুম৷ এই সময় ‘হিলারি ধাপে’ একেবারে ট্র্যাফিক জ্যাম লেগে যায়৷ কাজটা কঠিন হলেও, অভিযাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আমাদের এই পদক্ষেপ৷’
কবে থেকে এই প্রস্তাব কার্যকর হবে, সেই ব্যাপারে অবশ্য কোনও দিন নির্দিষ্ট হয়নি৷ সপকোটার কথায়, ‘আধিকারিকরাই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন৷’
নেপাল সরকার আরও জানিয়েছে, এভারেস্ট যাত্রাপথে বিপজ্জনক এলাকায় বাড়তি দড়ির ব্যবস্থা করা ছাড়াও এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে যে কোনও সাহায্যের জন্য পুলিশ ও সেনা মোতায়েন থাকবে৷
গত গ্রীষ্মেই এভারেস্ট ওঠার পথে ঠাসাঠাসি ভিড় থাকায় পাহাড়ের ঢালে এক দল ইউরোপীয় পর্বতারোহী এবং স্থানীয় নেপালি গাইডদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি হয়৷ গাইডরা তখন অভিযাত্রীদের সুবিধের জন্য বরফের দেওয়ালে দড়ি বাঁধায় ব্যস্ত থাকায় দলটিকে একটু অপেক্ষা করতে বলে৷ দলটি অধৈর্য হয়ে বলে তারা বিনা সিঁড়িতেই উঠে যেতে পারবে৷
প্রথম এভারেস্ট জয়ের পরের ষাট বছরে ওই শৃঙ্গটিতে উঠতে গিয়ে তিনশো জন পর্বতারোহী প্রাণ হারিয়েছেন৷
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।