সকল মেনু

বিরোধী দলবিহীন সংসদ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ

ঢাকা, ১৮ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : বিরোধী দলবিহীন বর্তমান সংসদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নবম জাতীয় সংসদের ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ প্রতিবেদন’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘অষ্টম ও নবম সংসদে বিরোধী দলগুলোর সংসদ বর্জনের ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু দশম সংসদ এক অর্থে বিরোধী দলবিহীন সংসদ। এটা উদ্বেগজনক। যদিও আমি মনে করি সংসদ বর্জনের প্রবণতা আইন প্রণয়ন করে বন্ধ করা উচিত।’

তিনি আরো বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক আছে। এই সংসদ সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তারপরও আক্ষরিক অর্থে বিরোধী দল এই সংসদে ব্যতিক্রমী চরিত্রটি খুব দ্রুত বন্ধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এছাড়া সংসদে ব্যবসায়ী সদস্য সংখ্যার তুলনামূলক বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি জানান, প্রথম সংসদে ব্যবসায়ী সংসদ সদস্য ছিল ১৭.৫ শতাংশ। যা বেড়ে দশম সংসদে দাঁড়ায় ৫৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নবম সংসদে কোরাম সংকট হয়েছে ২২২ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট। ওই সংসদে বিরোধী ও সতন্ত্র সংসদ সদস্যরা ৫৪ বার ওয়াকআউট করেছে। মন্ত্রীরা অর্ধেকের কম সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন। শতকরা হিসেবে যা ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে অষ্টম সংসদের তুলনায় নবম সাংসদদের উপস্থিতির হার ৫৫ থেকে বেড়ে ৬৩ শতাংশ হয়েছে। এই সংসদে বিরোধী দল ১৯ অধিবেশনের মধ্যে ১২টি বর্জন করে। সর্বোচ্চ একটানা ৮২ কার্যদিবস অনুপস্থিত ছিল বিরোধী দল। যাতে অর্থ অপচয় ৪ কোটি ৮৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, নবম সংসদে সংসদ নেতার উপস্থিতি ৮০.৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে বিরোধী দলীয় নেতার উপস্থিতি ২.৩৯ শতাংশ। আইন প্রণয়নে সময় ব্যয় হয় ৮.২ শতাংশ। এই সংসদে ৩ থেকে ৪ মিনিটে বিল আলোচনা ও পাসের ঘটনাও ঘটেছে।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, নবম সংসদে মোট ৪১৮ কার্যদিবসে ২৭১টি বিল পাস হয়। এই সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের অনুপস্থিতি ও স্পিকারের বিধি সম্মত মনে না করার কারণে ৯১৭টি মুলতবি প্রস্তাবের নোটিশ বাতিল করা হয়।

তাই টিআইবি পূর্বের সংসদের অসঙ্গতি দূর করতে অধিকতর কার্যকর করার জন্য কিছু সুপারিশ তুলে ধরে। এর মধ্যে রয়েছে-স্পিকারের অনুমতি ব্যতীত সংসদে অনুপস্থিত থাকলে তার প্রাপ্য ভাতা কর্তন, টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিতির বিধান বাতিল করে ৩০ কার্যদিবস করা, সংসদ সদস্য আচরণবিধি ২০১০ অনুমোদন ও আইন হিসেবে প্রণয়নের পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক চুক্তি ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে। এছাড়া সংসদীয় ক্যালেন্ডার প্রবর্তনেরও সুপারিশ করা হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম হাফিজ উদ্দিন খান, উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের।

– See more at: http://risingbd.com/detailsnews.php?nssl=0a86d5f4e64277b61f3a780bae2859cb#sthash.5t4SPz36.dpuf

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top