সকল মেনু

রাস্তা সংস্কারের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট

ঢাকা, ১৮ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : একেবারে চোখের সামনে। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে। মাত্র এক বছর আগে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড মেরামত করা হয়। অথচ বছর না ঘুরতেই সড়কটি এখন খানাখন্দে ভরে গেছে। স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর এক বছর পর্যবেক্ষণের আগে বিল পরিশোধের কথা না থাকলেও কাজ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো বিল দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, কাজটি হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের। সংস্কারকাজে মোট ব্যয়ের ৫০ শতাংশই হয়েছে কর্মকর্তা আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের মধ্যে ভাগাভাগি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রতি বছর প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার করছে।

কিন্তু মেরামতের কিছুদিন পরই অধিকাংশ সড়ক ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এভাবে রাস্তা মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকা প্রতি বছরই লুটপাট হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সমকাল প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার নিম্নমানের নির্মাণ ও সংস্কার কাজের এ ধরনের অনেক উদাহরণ উঠে এসেছে।

নিম্নমানের কাজের ফলে বাড়ছে ব্যয়, ঝুঁকি ও জনদুর্ভোগ। অনুসন্ধানে দেখা যায়, অধিকাংশ নির্মাণ ও সংস্কার কাজের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থের গড়ে ৩৫ শতাংশই ব্যয় হয় ঘাটে ঘাটে ঘুষ আর চাঁদায়। আবার এক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঘুষ ও চাঁদা আদায়ের ধরনও পৃথক। সংশ্লিষ্ট একাধিক ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রাজধানীর বেশিরভাগ সরকারি সংস্থার নির্মাণকাজ রাজনৈতিক ক্যাডাররা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ঢাকায় নির্মাণকাজের ৫০ শতাংশই তছনছ হয়ে যায়।

বাকি টাকায় কাজ হয় জোড়াতালি দিয়ে। ঢাকার বাইরে তাৎক্ষণিক সংস্কারকাজে হরিলুট এবং নিম্নমানের কাজ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ঠিকাদারদের সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা থেকেই নিম্নমানের কাজে উৎসাহিত করা হয়। এর দুটো লক্ষ্য। প্রথমত, বরাদ্দ থেকে একটা অংশ ভাগাভাগি করা; দ্বিতীয়ত সংস্কারকাজটি বছর বছর প্রকল্পভুক্ত করা।

প্রতি বছর ঢাকার জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা এবং সারাদেশের সড়ক সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সংস্থাকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নিম্নমানের কাজের জন্য এর ৫০-৬০ শতাংশই অপচয় হচ্ছে। এসব সংস্কারকাজ করায় এলজিইডি। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় যেসব সংস্কারের কাজ হয় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খুব কম।

নিম্নমানের কাজ যে কারণে: একাধিক ঠিকাদারের সঙ্গে আলোচনাকালে জানা যায়, নির্মাণ এবং সংস্কার কাজের দুটি ধরন আছে। একটি হচ্ছে তাৎক্ষণিক সংস্কারকাজ। কোনো সড়ক সংস্কার হচ্ছে না- এমন খবর পত্রিকায় উঠলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জরুরি সংস্কারকাজ করা হয়। সরকারি পদস্থ কর্মকর্তারাও অনেক সময় হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ভাঙা সড়ক দেখলে জরুরি মেরামতের পরামর্শ দেন।

এ ধরনের জরুরি মেরামত কাজে সড়ক ও জনপথের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী তালিকাভুক্ত কোনো একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত সংস্কারকাজটি করতে বলেন নিজের মুখ রক্ষার স্বার্থে। এ ধরনের কাজের জন্য স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অলিখিত সমঝোতা আছে। পর্যায়ক্রমে তারা এ ধরনের কাজ করে দেয়। নির্বাহী প্রকৌশলীর অনুরোধে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজের দায়িত্বেই জরুরি সংস্কার করে। এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

অলিখিত সমঝোতার কারণে যে প্রতিষ্ঠান আগেই কাজ করেছে, সেটি ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয় না। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রাক্কলন ব্যয় নির্ধারণের জন্য ব্যয় বরাদ্দের ৩ শতাংশ নির্বাহী প্রকৌশলীকে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে ৬ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক প্রভাবশালী কেউ থাকলে তাকেও ৬ শতাংশ দিতে হয়। টেন্ডার শেষ হলে শুরু হয় বিল তৈরির কাজ। বিল তৈরির সময় তিন ধাপে কর্মকর্তাদের আরও ১৫ শতাংশ দিতে হয়। ঠিকাদার প্রকৃত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ অতিরিক্ত বিল করেন।

সব মিলিয়ে ৪০ শতাংশ ব্যয় হয় ঘুষ আর ভাগাভাগিতে। এর বাইরে তাৎক্ষণিক কাজে আগেই ঠিকাদার নিজের তহবিল থেকে ব্যয় করার কারণে যে ধরনের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার কথা তার চেয়ে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেন। ২০১১ সালে ঈদের আগে সারাদেশে ভাঙাচোরা সড়ক সংস্কারের সময়ে এ ধরনের তাৎক্ষণিক সংস্কারকাজ একটি বড় উদাহরণ বলে ঠিকাদাররা জানান। তখন ঈদের সময়ে চলাচলের জন্য জরুরি মেরামত কাজ এক-দুই মাসও টেকেনি। পরে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় পৃথকভাবে সংস্কার প্রকল্প নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কে স্থায়ী সংস্কার করে।

এ ছাড়া বড় বড় নির্মাণকাজের (বড় সড়ক নির্মাণ, পৃথক লেন) ক্ষেত্রে ব্যয় অনুমোদনের পর টেন্ডার প্রক্রিয়া চলাকালেই ঠিকাদার সিন্ডিকেটের সঙ্গে কর্মকর্তাদের সমঝোতা হয়। এসব কাজ সাধারণত প্যাকেজ হিসেবে কয়েক ভাগে ভাগ করে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্পন্ন করে। প্রতি প্যাকেজে কত শতাংশ কর্মকর্তাদের দেওয়া হবে, ব্যয়ের বিল কত শতাংশ বেশি করা হবে তা আগেই নির্ধারণ করা হয়।

বড় কাজের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ অর্থ ভাগাভাগি হয়। ঠিকাদাররা জানান, সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম সবচেয়ে কম হয়। কারণ সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে মানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা কোনোভাবেই ঝুঁকি নিতে চায় না। নজরদারিও কঠোর রাখে।

কিছু দৃষ্টান্ত: দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিভিন্ন এলাকার পৌরসভাসহ সরকারি সংস্থার অধীনে সড়ক সংস্কার, ভবন নির্মাণে কাজ হচ্ছে নিম্নমানের। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) প্রতি বছর প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার সড়ক সংস্কার করলেও মেরামতের কিছুদিন পরই সড়ক ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে ২৫-৩০ টন ক্ষমতার ট্রাক ও লরি চলাচল করলেও চসিক ও সিডিএ ৫-১০ টন ধারণক্ষমতার সড়ক নির্মাণ করছে বলেই সংস্কারের পর সড়কগুলো দ্রুত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। রাঙামাটিতে তাগলছড়া, ভাইবোনছড়া, ডুলুছড়ি এবং তৈবাং এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হয় ২০১২-১৩ অর্থবছরে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই দেয়ালে ফাটল দেখা গেছে। বিদ্যালয়গুলো থেকে নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ ধরনের ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম নিরাপদ নয় উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিম্নমানের কাজের কারণে পর্যটন এলাকা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কুয়াকাটা-পটুয়াখালী সড়ক নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দিনাজপুরে চাষের সেচের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাবার ড্যাম নির্মাণে পিলার না দিয়ে শুধু বালু দিয়ে ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। ফলে রাবার ড্যাম ছোটখাটো প্লাবনেই ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর গাইবান্ধায় এলজিইডি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থানীয় পাগলারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করে। ভবনটি হস্তান্তরের পর এটি তিস্তার ভাঙনের ঝুঁকির মধ্যে অবস্থিত এলাকায় নির্মাণ এবং অত্যন্ত নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নির্মাণের বিষয়টি ধরা পড়ে।

ফলে হস্তান্তরের মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ২৪ অক্টোবর ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। স্কুল কমিটি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে জানায়, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী ওই ভবন নির্মাণকাজে বড় ধরনের দুর্নীতি করার কারণে এটি নিলামে বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না, অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ও নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে বিদ্যালয়ের কাজ চালানো অসম্ভব ছিল। ২০০৮ সালে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে দুবলা কুঁড়ি সেতু নির্মাণে দুর্নীতি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। সোনার বাংলা কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই সেতু নির্মাণের দায়িত্ব পাওয়ার পর ১২ বছরেও কাজ শেষ না করলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

ঢাকার সরকারি সংস্থার দখল রাজনৈতিক মাস্তানদের হাতে: ঢাকাসহ মেট্রোপলিটন সিটিগুলোর ব্যাপারে একজন ঠিকাদার বলেন, ঢাকায় কাজের নিয়ন্ত্রণ ভিন্নভাবে হয়। এখানে সিটি করপোরেশন, রাজউক, গণপূর্ত অধিদফতর, ঢাকা জেলা পরিষদের নির্মাণ এবং সংস্কার কাজ সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করেন যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে সে দলের প্রভাবশালীরা। যেমন বর্তমানে ঢাকা সিটি করপোরেশন এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন ভোলা থেকে নির্বাচিত একজন তরুণ এমপি।

সাবেক একজন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সমঝোতায় রাজউকের কিছু লোক নিয়ন্ত্রণ করছে মানিক বাহিনী, গণপূর্ত অধিদফতর নিয়ন্ত্রণ করছে যুবলীগের একজন প্রভাবশালী নেতা, ওয়াসা নিয়ন্ত্রণ করছেন শ্রমিক লীগ এবং যুবলীগ নেতারা যৌথভাবে। ঢাকা জেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রণ করছেন উত্তরা এলাকার যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ সাবেক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার।

এ নিয়ন্ত্রকরাই ঠিক করে দেন- কোন কাজের টেন্ডার কোন ঠিকাদার পাবেন। বিনিময়ে তারা ১০ শতাংশ হারে চাঁদা নেন। বিভিন্ন অঞ্চল পর্যায়ে ঠিকাদার হিসেবে যেসব প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত তার ৭০ শতাংশই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা বা ক্যাডাররা। তাদের কাজ তদারক করার ক্ষমতা প্রকৌশলীদেরও থাকে না। ফলে তারা যেমন ইচ্ছা কাজ করেন।

ঢাকায় প্রতি বর্ষার আগে সড়ক সংস্কারের কাজ করা হয়, বর্ষায় সড়ক ধুয়ে আবার চলাচলের অনুপযোগী হয়, এরপর জনদুর্ভোগ চলে কিছুদিন, তারপর বর্ষার আগে আগে আবারও সংস্কারকাজ চলে। বিশেষ করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সড়ক সংস্কার এবং ঢাকা ওয়াসার স্লাব নির্মাণের পর হাতেগোনা দু-একটির ক্ষেত্রে এক বছর পার হওয়ার নজির আছে।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক ও জনপথে বর্তমানে সব ধরনের কাজ নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। ফলে আগের চেয়ে অনিয়ম এবং নিম্নমানের কাজের সুযোগও কমে গেছে। তবে রাতারাতি সবকিছু বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন যা চলে আসতে ছিল তা বদলাতে সময় লাগবে। যদি কোথাও থেকে অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে, তাহলে এখন সড়ক বিভাগ থেকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ কারণে দেশের কোথাও সড়ক ও জনপথের অধীনের সড়কগুলো একেবারে চলাচল অনুপযোগী নেই।

কর্মকর্তারা প্রভাবমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করলে এবং প্রকল্প এলাকায় বাস্তবে কী কাজ হচ্ছে তা শীর্ষ পর্যায় থেকে নিয়মিত তদারকির বিষয়টি নিশ্চিত করা গেলে অবশ্যই সরকারি কাজের মান রক্ষা করা সম্ভব। এ চিন্তা থেকেই যোগাযোগ মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক বলেন, কোথায় কোথায় কী কারণে রাস্তা দ্রুত খারাপ হচ্ছে, সেগুলো অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষ হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রশ্ন রাখেন, একজন ঠিকাদার কেন ঘুষ দেবেন। কোনো ঘুষ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। কারণ সব ঠিক থাকলে তিনি কাজ পাবেন। কাজ শেষ হলে বিলও পাবেন। তিনি ঠিকাদারদের ঘুষ না দেওয়ার ব্যাপারে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেন।

রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এমদাদুল ইসলাম বলেন, রাজউকের বিরুদ্ধে অন্য অভিযোগ থাকলেও ঠিকাদারি কাজে কোনো দুর্নীতি হয় না। এ ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে ঠিকাদাররা তার কাছে কোনোদিন যাননি। কেউ সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।(সমকাল)

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top