সকল মেনু

আবারোও মস্তকবিহীন লাশ; পারিবারিক শত্র“তার জের ধরে হত্যা

 ঠাকুরগাঁও অফিস ও হুমায়ুন কবীর, বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) থেকে: কুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার শিমুলতলী নামক স্থানে ঠাকুরগাঁও-রানীশংকৈল মহাসড়কের পাশে মস্তকবিহীন একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ব্যক্তি পাশ্ববর্তী মহেষমারী গ্রামের আঃ রহিমের ছেলে পজির উদ্দীন (৩৫)। নিহতের পরিবারের দাবি পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে পজিরকে খুন করা হয়েছে। গত ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে একইভাবে ইটভাটার এক শ্রমিক খুন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায়। ইট ভাটায় নরবালির এক নাটক সাজিয়ে পুলিশ খুনি সনাক্তের কথা বলে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও আলোচিত ওই নরবলি এলাকায় প্রশ্নবিদ্ধ। নিহত পজির উদ্দীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি এজাব উদ্দীনের বংশীয় ভাই এবং পরিবারের দাবি পজিরের খুনিও একই বংশীয়। নিহতের ভাই আজিম উদ্দীন জানান, তিনি বগুড়ায় একটি হিমাগারে নৈশ প্রহরীর চাকুরী করেন। তার ভাই পজির উদ্দীন বাড়িতে কৃষিকাজ দেখাশোনা করতো। তাদের বাড়ির সংলগ্ন বাড়িটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ধনাঢ্য ব্যক্তি এজাব গ্র“পের মালিক এজাব উদ্দীনের। বংশ পরস্পরায় তারা ভাই। এজাব উদ্দীনের ওই বাড়িতে তাদের বংশীয় অর্থাৎ আজিম উদ্দীনের এক চাচা মমতাজ উদ্দীন বসবাস করেন।কিছুদিন আগে জায়গা জমি নিয়ে উক্ত মমতাজ উদ্দীনের সাথে তাদের মামলা মোকদ্দমা হয়। তাদেরকে (আজিম ও পজির) সে বাড়ি থেকে উৎখাতের জন্য আদালতে নারী নির্যাতন সহ একাধিক মামলা করা হয়। তার পরেও পজির বা তার পরিবার সেখান থেকে চলে না যাওয়ায় বুধবার (১২ মার্চ) পজিরকে খুন করার হুমকি দেয় মমতাজ উদ্দীনের ছেলে মোঃ রাজা। ওই রাতেই খুন হয় পজির। বুধবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে ওই রাস্তা দিয়ে আসা কয়েকজন জানান, তারা ভানোর ইউনিয়নে একটি ওয়াজ মাহফিল শুনে বাড়ি ফিরেন। রাস্তার ওপর একটি সাইকেল দাড় করানো থাকলেও তারা কাউকে দেখতে পাননি। তারা মনে করেছিলেন, গ্রামেরই কেউ ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে সাইকেল রেখে গম ক্ষেতে প্রাকৃতিক কাজ সারতে গিয়েছেন। তাদের ধারনা পজিরকে রাত ১ টার পরে খুন করা হয়েছে। এদিকে লাশের মাথা খুজতে পুলিশ আশপাশের কয়েকটি পুকুরে জাল টানে এবং এলাকার বিভিন্ন ক্ষেতখামার সহ সব স্থানে তল্লাশি চালিয়েও মাথা উদ্ধার করতে পারেনি।সকাল বেলা লাশ উদ্ধারের পর পরই মমতাজ উদ্দীন, তার ছেলে রাজা মিয়া সহ স্ব-পরিবারে গাঢাকা গিয়েছে। তাদের বাড়িতে গিয়ে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়।ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার ফয়সল মাহমুদ সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শক করে লাশ ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠিয়েছেন। বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস আই) আরিফ জানান, লাশের শরীর থেকে মাথা আলাদা করতে বেশ ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে। লাশের শরীরে অন্য কোথাও কোন যখমের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়নি। পুলিশ সুপার ফয়সল মাহমুদ জানান, মাথাটি উদ্ধারের জন্য তল্লাশি অভিযান চলছে। তাছাড়া নিহত পজিরের পরিবারের পক্ষ থেকে খুনীর বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top