সকল মেনু

চলনবিলে খিরার আবাদে কৃষকের মুখে হাসি

ঢাকা, ১৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : সিরাজগঞ্জ জেলার চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার বারুহাসে দিঘরিয়া খিরার আড়তে রমরমা ব্যবসা চলছে। খিরার বাম্পার ফলনের সঙ্গে দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি।

স্থানীয় কৃষক, আড়তদার ও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নে প্রতি বছর ব্যাপক খিরা চাষ করা হয়। গত বছর হরতাল ও অবরোধসহ নানা কারণে দাম না পেলেও এবছর কৃষকেরা দাম বেশি হওয়ায় কৃষকেরা লাভবান হয়েছে। চলতি বছরে তাড়াশ উপজেলার প্রায় ২ হাজার বিঘা (২৮০ হেক্টর) জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলার বারুহাসের দিরিয়া গ্রামের কৃষক জয়নুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে খিরা চাষ করতে প্রায় ১২-১৪ হাজার টাকা খরচ হয় আর এ বছর প্রতি বিঘায় উৎপাদিত ১২০ মণ থেকে ১৫০ মণ বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭৫ হাজার আয় করা যাচ্ছে। ফলে এক বিঘা জমিতে খিরার আবাদ করে কৃষকের লাভ হচ্ছে ৫০-৬০ হাজার টাকা।

উপজেলার স্থানীয় আড়তদার দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০টি ট্রাকে করে খিরা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

তাড়াশ উপজেলার সরাবাড়ী গ্রামের কৃষক গোলাম রহিম কৃষক সাখোয়াত বারুহাসের আনসারসহ অনেক কৃষক জানান, তারা উৎপাদিত খিরার দাম বেশি পেয়ে খুব খুশি।

দিঘরিয়ার কৃষক আব্দুল লতিফ জানান, আড়তে গত বছর প্রতি বস্তা (৩০কেজি) খিরার দাম ৮০-৯০ টাকা পেলেও এবছর ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কৃষকেরা খিরা বিক্রি করে প্রত্যক কৃষক কিছু টাকা দান ও করছেন বলে জালালেন মাদ্রাসার সভাপতি আব্দুস সামাদ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মো. আব্দুস সালাম জানান, গত বছরের খিরার দাম না পাওয়ায় এ বছর ২০ হেক্টর জমিতে কম আবাদ হলেও এবছর বাম্পার ফলন ও দাম অনেক বেশি পাওয়ায় কৃষকেরা আগামীতে আরো খিরার আবাদে ঝুঁকবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top