সকল মেনু

ডহরপাড়ার শৈশবে হারালেন যোগেন চৌধুরী

সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রতিবেদক,৬ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী ও ইন্ডিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য প্রফেসর এমেরিটাস যোগেন চৌধুরী নিজ জম্মস্থান কোটালীপাড়ায় পরিদর্শনে গিয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেন। নিজ গ্রাম ডহরপাড়ায় গিয়ে ফিরে পেলেন ফেলে আসা স্মৃতিমুখর শৈশবকে।

যোগেন চৌধুরী ঘুরে ঘুরে দেখলেন পুরো গ্রাম। ঘুরলেন বড় দীঘির পাড় আর বাঁশ বাগানে। শৈশবে সাঁতার কাটা দিঘিরপাড়ে বসে আঁকলেন ছবি। যে বাড়িটি ঘিরে জড়িয়ে আছে বাবা, মাসহ পরিবারের সদস্যদের স্মৃতি তার তুলে ধরলেন অকপটে। ছোট বেলায় নৌকা চলানোর কথা বললেন।

পৈত্রিকভিটা ও জম্মস্থানের মাটিতে পা ফেলে পারিবারিক স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে তিনি হয়ে পড়েন প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ।

স্মৃতিচারণ করে বিশ্ববরেণ্য এ শিল্পী বলেন, ‘ডহরপাড়ার প্রাকৃতিক পরিবেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মাটি কেটে উঁচু করা হয়েছে বাড়ি। পারিবারিক মন্দির-স্থাপনার কিছুই এখন আর নেই। পিতৃভূমির স্মৃতিচিহ্ন বলতে শুধু বড় দীঘি, পারিবারিক ফুলপুকুর আর বাঁশবাগান। সেখানেও হয়েছে পরিবর্তন। তবুও পৈত্রিক ভিটা আর জন্মভূমিতে এসে আমি তৃপ্ত। বাংলাদেশ আমার প্রিয় মাতৃভূমি। আমার দেশ মাতৃকা বাংলাদেশ শান্তির পথে এগিয়ে যাবে এ প্রত্যাশাই করি।’

বুধবার দুপুর আড়াইটায় কালি ও কলম পত্রিকার সম্পাদক আবুল হাসনাৎ, প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন, ভারতের শিল্প ও সাহিত্য সমালোচক অরুণ ঘোষ ও দিল্লির সাংবাদিক সুনীল যসম্যানকে সঙ্গে নিয়ে যোগেন চৌধুরী কোটালীপাড়ায় আসেন।

বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে তিনি নিজ গ্রাম ডহরপাড়া, সাড়ে ৪ টার দিকে কোটালাপাড়ার উনশিয়া গ্রামে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিক ভিটা ও সাড়ে ৫ টার দিকে কোটালীপাড়া কেন্দ্রীয় কালিবাড়ী পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি গ্রামের লোকজন আত্মীয় স্বজন ও কোটালীপাড়ার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।

উল্লেখ, যোগেন চৌধুরী ১৯৩৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার ডহরপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম প্রমথ চৌধুরী। ১৯৪৮ সালে মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি কলকাতা চলে যান। সেখানে আর্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ালেখা করেন। পরে বিশ্ব ভারতীর ললিতকলা বিভাগের (আর্ট) অধ্যাপক হন। তার শিল্পকর্ম তাকে বিশ্ব খ্যাতি এনে দিয়েছে। বর্তমানে তিনি এমেরিটাস প্রফেসর ও ভারতীয় পার্লামেন্টের সদস্য।

যোগেন চৌধুরী বলেন, মাতৃভূমির কথা সব সময়েই আমার মানপটে ভাস্বর হয়ে থাকে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও ২১ বছর আগে প্রথম মাতৃভূমিতে বেড়াতে এসেছিলাম। তখন পৈত্রিক স্মৃতিচিহ্ন ছিল। দ্বিতীয় বার এসে দেখছি সেগুলো নেই। বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমার অন্তর আত্মার সঙ্গে এ দেশ মিশে আছে। আমি যখনই সময় পাব এ দেশে চলে আসব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top