সকল মেনু

দুদকে চলছে শওকতের জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা, ৫ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব খন্দকার শওকত হোসেনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বুধবার সকাল ১০টায় দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা যতন কুমার রায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে ১০টার কয়েক মিনিট আগে শওকত হোসেন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে আসেন।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শওকত হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা ছিল। কিন্তু সেদিন আসতে পারবেন না বলে জানিয়ে কমিশনের কাছে অন্যদিন আসার সময় চেয়েছেন তিনি। তবে তার এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

দুদক আসা অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, খন্দকার শওকত হোসেন শুধু ২০০১ সালে নিজের নামে সম্প্রসারিত উত্তরা প্রকল্পে তিন কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়ে পাঁচ কাঠায় রূপান্তরিত করেন। সেখান থেকে দুই কাঠা বিক্রি করার পরেও ডেভেলপমেন্টের জন্য পুরো পাঁচ কাঠার আমমোক্তার প্রদান করেন। ২০০৪ সালে পূর্বাচল প্রকল্পে স্ত্রী আয়েশা খানমের নামে সাড়ে সাত কাঠার প্লট বরাদ্দ নিয়ে প্রথমে ১০ কাঠা এবং পরে সাড়ে ১২ কাঠায় উন্নীত করেন। রাজউকের উত্তরা আবাসিক প্রকল্পে অভিনব কায়দায় মায়ের নামে নিয়েছেন তিন কাঠার প্লট। একই পন্থায় তিন কাঠার প্লটকে পাঁচ কাঠায় উন্নীত করেন।

খন্দকার শওকত প্রভাব খাটিয়ে উত্তরা আবাসিক প্রকল্পের ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রাস্তায় ১০৬ নম্বর প্লটটি প্রথমে তার বন্ধু আবু হানিফ মাহমুদের নামে বরাদ্দ নেন। ১৯৯৫ সালের ১২ মার্চ হানিফের কাছ থেকে সাফ-কবলা ‘ক্রয়’ দেখান তার মা জাকিয়া আমজাদের নামে। তার মাকে দিয়েই তিন কাঠার প্লট পাঁচ কাঠায় উন্নীত করার আবেদন দেন।

সেই আবেদনে বলা হয়, “উত্তরা আবাসিক প্রকল্পের ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬নং সড়কের ১০৬ নম্বর প্লটটি বিমান-উড্ডয়ন এলাকার আওতায় হওয়ায় এখানে উঁচু ভবন নির্মাণ করে সপরিবারে বসবাসের উপযোগী নয়। তাই এটির পরিবর্তে অন্য সেক্টরে এখনই বাড়ি করার উপযোগী পাঁচ কাঠার প্লট বরাদ্দ দেওয়া হোক।”

একইভাবে তিনি নিজের এবং তার স্ত্রীর নামে নেওয়া প্লটের আকার বৃদ্ধির আবেদনেও একই কারণ উল্লেখ করেন। তার মায়ের নামে কেনা প্লটের আকৃতি বাড়ানোর আবেদনটিতে কোনো তারিখ নেই। তবুও আবেদনটি ২০১১ সালের ১০ মে রাজউকের বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থাপিত হয়। অনুমোদন লাভ করে একই বছর ১২ মে। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে আবেদনটি মঞ্জুর হয়ে যায়। এবং সেই বোর্ড মিটিংয়ে রাজউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার (অর্থ), সদস্য আখতার হোসেন (এস্টেট), সদস্য এম. মাহবুবুল আলম (উন্নয়ন), সদস্য নাজমুল হাই (প্রশাসন ও ভূমি) এবং সদস্য আবদুল মান্নান (পরিকল্পনা) মিলে সর্বসম্মতিক্রমে আবেদনটি মঞ্জুর করেন। সে সময় শওকত হোসেন তখন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top