সকল মেনু

কমিশনার আলিম হত্যা মামলায় আট আসামির ফাঁসির আদেশ

 আদালত প্রতিবেদক: ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৬২ নং ওয়ার্ডের (লালবাগ) সাবেক কমিশনার আলীম উদ্দীন হত্যা মামলায় তিন সহোদরসহ ৮ জনকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।  ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন। ফাঁসির দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এবিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি মো. আসাদুজ্জামান খান রচি ও সালাহউদ্দিন হাওলাদার বলেন, আলীম হত্যার ১৮ বছর পর তার মামলার রায় দেওয়া হলো। রায়ে বাদী পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। এরআগে রায়ের আগে চার্জশিটের ৩৪ সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তিন সহোদর সাঈদ আহমেদ, রশিদ আহমেদ ও ফরিদ আহমেদ এবং হারুণ, সিরাজ, শওকত, শিবলু ও কামাল। এদের মধ্যে আসামি শওকত, শিবলু ও কামাল রায় ঘোষণাকালে পলাতক ছিলেন। অপর ৫ জনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আজিমপুর রোডের গোরে শহীদ মাজার ও মসজিদ সংলগ্ন অফিউল্লার হোটেলের গলির মুখে নৃশংসভাবে খুন হন ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আলীম উদ্দীন। এ ঘটনায় নিহত কমিশনারের ছোটভাই বদির উদ্দীন বাবলা লালবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, ১৯৯৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে  দুই ভাই আলীম উদ্দীন ও নাজিম উদ্দীন মোটর সাইকেলযোগে আজিমপুর রোডের গোরে শহীদ মাজার ও মসজিদ সংলগ্ন অফিউল্লার হোটেলের গলির মুখে আসলে আসামিরা তাকে (আলীম উদ্দীন) গুলি ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। নিহতের অপর ভাই নাজিম উদ্দীন তাকে বাঁচাতে আসলে তাকেও গুলি করে ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এলাকার লোকজনের সহায়তায় দুইভাইকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলীমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এসময় নাজিম উদ্দীনের অবস্থা গুরুতর ও আশঙ্কাজনক দেখে ঢামেক হাসাপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। ১৯৯৭ সালের ৩০ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হেনা মোস্তাফা কামাল উক্ত ৬ আসামিসহ ৭ জনকে  অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামি সালেহ ১৯৯৬ সালের ২২ আগস্ট অজ্ঞাত যুবকদের হাতে গুরুতর জখম হয়ে ঢামেক হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ মামলায় গ্রেফতার হন। ওই ঘটনার দুইদিন পর ২৪ আগস্ট তিনি মারা গেলে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top