সকল মেনু

ঐশির বিরুদ্ধে পুলিশের চার্জশিট আজ

বহুল আলোচিত খুনের মামলার চার্জশিট পেশ হতে যাচ্ছে সোমবার৷পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত তাদেরই মেয়ে বছর সতেরোর ঐশি রহমান৷ এ ছাড়াও মামলায় অন্য তিন অভিযুক্ত ঐশির দুই বন্ধু জনি, রনি ও বাড়ির পরিচারিকা খাদিজা আক্তার৷ ঐশির মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট শনিবার হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দা কর্তারা৷

সূত্রের খবর, রিপোর্টে ঐশির মানসিক অবস্থা সম্পূর্ণ স্থিতিশীল বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ঐশির উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনে তার বাবা-মায়ের বাধা দেয়ার জন্যই ঐশি তাদের খুন করতে উদ্যত হয়েছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে চার্জশিটে৷ ঐশির এমন পদক্ষেপে তাকে সাহায্য করেছিল বাড়ির পরিচারিকা খাদিজা আক্তার৷ ঘটনার দিন ঐশি যখন বাবা-মায়ের কফিতে ঘুমের ওষুধ মেশায়, তখন তা দেখেও চুপ ছিল সে৷ এরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের সময়ও টু শব্দ করেনি ধৃত খাদিজা৷ এমনকি ওই পুলিশ কর্তা ও তার স্ত্রীর লাশ বাথরুমে টেনে নিতে সে ঐশিকে সহযোগিতা করেছিল৷

এই খুনের তদন্তে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল ঐশির দুই বন্ধু জনি ও সানি৷ একটি পার্টিতে আলাপ হওয়ার পর থেকেই তাদের সঙ্গে ঐশির ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে৷তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বাবা-মায়ের অবর্তমানে ঢাকার চামেলিবাগের ফ্ল্যাটে জনি ও সানির সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্তও হয়েছিল ঐশি৷ জনি-সানি ও ঐশির বন্ধুত্বে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিলেন মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান৷ তাদের মেলামেশার উপর লাগাম টেনেছিলেন৷ খুনের চক্রান্ত করার সময় গ্রেফতারি এড়াতে ঐশিকে দুবাইতে চালান করার প্রতিশ্রুতিও দেয় জনি ও সানি৷ বন্ধুদের থেকে এমন প্রতিশ্রুতি পেয়েই নিজের বাবা-মাকে খুন করে ঐশি৷

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট  রাজধানীর চামেলিবাগের  ফ্ল্যাটের এই ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। বেশ কিছুদিন ফেরার থাকার পর ৩১ আগস্ট পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে ঐশী রহমান। ম্যাজিস্ট্রেটকে দেয়া গোপন জবানবন্দিতে নিজের দোষ কবুল করে সপ্তদশী ঐশি৷

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top