আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ২২ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : মানুষ মানুষের জন্য- প্রবাদটি আবারো সত্যি করল মিয়ামি হাইওয়েতে ক’জন মানুষ। বৃহস্পতিবার পামেলা রুশো মিয়ামি মহাসড়ক ধরে তার ভাগ্নে, সেবাস্তিয়ানকে নিয়ে কোনো এক স্থানে যাচ্ছিলেন। ভাগ্নেকে গাড়ির পেছনের সিটে সিটবেল্ট দিয়ে বেঁধে বসিয়ে রেখেছিলেন পামেলা। হঠাৎ তিনি খেয়াল করেন, ভাগ্নের চিৎকার-চেচামেচি থেমে গেছে! বিপদসংকেত পেয়ে সাথে সাথে গাড়ি থামিয়ে তিনি পেছনের সিটে চলে যান। ডলফিন এক্সপ্রেসওয়ের ওই রাস্তাটা ছয় লেনের। দ্রুত ভাগ্নেকে নিয়ে পামেলা গাড়ির বাইরে চলে আসেন। ইমার্জেন্সি সাহায্যের জন্য ৯১১-এও তখন ডায়াল করতে পারছিলেন না মাথা কাজ না করায়। পামেলা সাহায্যের আশায় চিৎকার জুড়ে দেন।
এ দৃশ্য প্রথম দেখেন রাস্তার ষষ্ঠ লেনে ছুটে চলা থাকা লুসিলা গডয়। নিজ গাড়ি থামিয়ে দ্রুত তিন নাম্বার লেনে চলে আসেন তিনি। সাহায্যের হাত বাড়ান পামেলার দিকে। উল্লেখ্য, গডয়ের গর্ভকালীনসময় ভেনিজুয়েলায় হৃদরোগের ওপর প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেওয়া ছিল। গডন বাচ্চাটার বুকে চাপ দিতে থাকেন। এর একটু পরই সেখানে উপস্থিত হন এমরাস বাস্টিডাস নামের একজন পুলিশ কর্মকর্তা। সবাই মিলে একটা দল হয়ে বাচ্চাটাকে বাঁচাতে কাজ করতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেখানে উপস্থিত সবাই এগিয়ে আসেন। এঘটনায় যদিও মিয়ামি মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়, কিন্তু বেঁচে ওঠে একটা প্রাণ। এর কিছুক্ষণ পরই উদ্ধারকর্মীরা এসে উপস্থিত হন এবং সেবাস্তিয়ানকে জ্যাকসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যান।
http://www.youtube.com/watch?feature=player_detailpage&v=CQd0FLzkDnU
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।