সকল মেনু

রিজার্ভ রেকর্ড ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার অর্থাৎ ১৯ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দেশের ইতিহাসের যেকোন সময়ের চেয়ে যা বেশি বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ এ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, রেমিটেন্সের উচ্চপ্রবাহ এবং রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।

জানা গেছে, বুধবার দিন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম। এ রিজার্ভ দিয়ে দেশের প্রায় সাত মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ সম্ভব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের ওপরেই থাকবে বলে আমরা আশা করছি।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কোন দেশের কাছে কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করার সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন।

জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ ডিসেম্বর  কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের ৭ মে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ১৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে এবং গত ১৯ ডিসেম্বর তা ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। জানা গেছে, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের রিজার্ভ ২৭৫ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ১০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, প্রবাসী বাংলাদেশীরা গত জানুয়ারি মাসে  দেশে তাদের স্বজনদের কাছে ১২৫ কোটি ডলারের ওপর রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। যা চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের একক কোন মাসে সর্বোচ্চ। এছাড়া চলতি ফেব্রয়িারি মাসের প্রথম ১৪ দিনে ৬৫ কোটি ডলারের ওপর রেমিটেন্স দেশে এসেছে। অবশ্য চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিটেন্সের পরিমাণ ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে এ সময়ে রপ্তানি আয় প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা রিজার্ভের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top