সকল মেনু

রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে নতুন নিয়মে ভোগান্তি বেড়েছে

রাজশাহী, ১৭ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) :  রাজশাহীর পারিবারিক আদালতগুলো আটকে আছে নানান সংকটে। এর মধ্যে ডিক্রীকৃত অর্থ উত্তোলনে চালু হয়েছে নতুন নিয়ম। ফলে জটিলতায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। এতে একদিকে যেমন দীর্ঘ সময় ব্যয় হচ্ছে, অন্যদিকে বাড়ছে খরচ এবং হয়রানি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগে পারিবারিক মামলায় ডিক্রী হওয়ার পর দেনমোহর ও খোরপোষের টাকা দেন্দার দরখাস্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সেরেস্তাদারের নিকট জমা দিত হতো। ডিক্রীদার দরখাস্তের মাধ্যমে টাকা বুঝে নিতে পারতেন।

কিন্তু বর্তমানে এই নিয়মের পরিবর্তন ঘটেছে। পরিবর্তীত নিয়মে দেন্দারকে দেনমোহর ও খোরপোষের টাকা চালানের মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দিয়ে চালানের কপি সেরেস্তাদারকে জমা দিতে হয়। জমাকৃত টাকা উত্তোলনের জন্য ডিক্রীদারকে পেমেন্ট অর্ডারের মাধ্যমে আদালতে দাখিল করার পর আদালতের আদেশ হলে তা একাউন্টস অফিসে পাঠানো হয়।

সেখানে যাচাই বাছাইয়ে অন্তত ১০-১২ দিন সময় লাগে। তার পর নিয়োগকৃত অ্যাডভোকেটের নামে চেক প্রদান করা হলে অ্যাডভোকেট চেক ভাঙ্গানোর পর ডিক্রীদার বাদি তার টাকা পাবেন।

এতে একদিকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় হচ্ছে, তেমনি বাড়তি টাকাও খরচ করতে হচ্ছে ডিক্রীদারকে। বাড়ছে নানান ভোগান্তি। নতুন এই নিয়ম নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে রয়েছে নানা মত। কারো মতে, আগের নিয়মে টাকা পাওয়াটা সহজ হলেও মেটাতে হতো কারো কারো আবদার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সেরেস্তাদারের কাছে টাকা জমা থাকায় অনেক সময় কোন কোন সেরেস্তাদার টাকা ব্যক্তিগত কাজে লাগাতো। এতে করে কৌশলে ঘোরানো হতো ডিক্রীদারকে। এছাড়া কোন কোন সময় হিসাব বজায় রাখা নিয়েও জাটিলতা দেখা দিতো।

এ অবস্থার নিরসনে এবং ডিক্রীদারের অর্থ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পূর্বের নিয়ম পরিবর্তন করা হয় বলে জানিয়েছে সূত্র। কিন্তু নতুন এই নিয়মে ব্যাংক এবং এজি অফিসে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে সময় এবং অর্থের অপচয় বেড়েছে। বেড়েছে হয়রানিও। তবে টাকা দাখিলকালে উভয় পক্ষ আদালতে উপস্থিত থাকলে টাকা পাওয়া নিয়ে কোন অসুবিধা হয় না।

এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী নাজমুল হক মিন্টু জানান, নতুন নিয়ম টাকা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ডিক্রীদারের জন্য নিরাপদ মনে করা হলেও টাকা উঠাতে গিয়ে সময় ও অর্থের অপচয় হচ্ছে বেশি। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এবং হয়রানি ছাড়া সংশ্লিষ্টদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হলে যে কোন নিয়মই ফলপ্রসু হবে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top