সকল মেনু

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত করা কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

ঢাকা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : সংসদীয় আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একক প্রার্থীকে নির্বাচিত করার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা কেন সংবিধানপরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ রুল জারি করেন।

মন্ত্রিপরিষদসচিব, আইনসচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদনটি করেন। রিটের ওপর আজ (রোববার) শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আল আমীন সরকার।

আইনজীবী হাসান এম এস আজিম জানান, এককভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত করা সংক্রান্ত ১৯ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চেয়েছেন আদালত। ১০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা অনুসারে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। এটি সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১, ৬৫ (২), ১২১ ও ১২২ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।

প্রসঙ্গত, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১২৭ আসনে আওয়ামী লীগ, ২০ আসনে জাতীয় পার্টি, ৩ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, ২ আসনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটি আসনে জাতীয় পার্টি-জেপির প্রার্থী নির্বাচিত হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top