সকল মেনু

ফরিয়া চক্রের খপ্পরে আলু

ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম)  : কারসাজিবাদ ফরিয়া চক্রের খপ্পরে পড়েছে আলু। মাঠ পর্যায়ের চাষিরা লেবার খরচ তুলতে না পারলেও মধ্যস্বত্বভোগীরা লুফে নিচ্ছে কোটি টাকা। মাঠ পর্যায়ে আলু ২ টাকায় বিক্রি হলেও রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোকে বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকার উপরে।

কৃষকদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ করা হলেও আলুর দাম নির্ধারণের অনুরোধ করা হলেও কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ফলে আলুর উৎপাদন ভালো হলেও লাভের মুখ দেখছেন না।  শঙ্কিত হচ্ছেন ঋণের টাকা পরিশোধ নিয়ে।

যাত্রাবাড়ির ব্যবসায়ী এলিন মজুমদার জানান, মাঠ পর্যায়ে কেজি প্রতি আলু পাইকারদের কাছে চাষি বিক্রি করছেন দেড়-দুই টাকা। আলুর উৎপাদন খরচ তুলতে না পারায় চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। তবে ভোক্তারা কিনছেন ঠিক কয়েক গুণ বেশি দামে। মধ্যস্বত্বভোগী (ফরিয়া) ব্যবসায়ীদের লাভ ঠিকই থাকছে। পচনশীল হওয়ায় আলু ২-৩ দিনের বেশি আড়তেও রাখা যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

তথ্য মতে, চলকি মৌসুমে  ৮৫ লাখ টনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮৬ লাখ টনেরও বেশি উৎপাদিত হয়েছে।

এদিকে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে পেঁয়াজসহ সবজির দাম কমলেও মুরগি ও মাছের দাম বাড়তি। বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। কমেছে আটা ও ময়দার দাম। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কেজিপ্রতি আলু (নতুন) বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা, আলু (পুরাতন) ১০,  কাঁচা মরিচ ৪০, শসা ২৮ থেকে ৩০, পটল ৫০, বেগুন (গোল) ২৫, বেগুন (লম্বা) ২০, সিম ২০, গাজর ২৪, মুলা ১০, করলা ৬০, ঢেঁড়স ৮০, চিচিঙ্গা ৬০, পেঁপে ১৫, টমেটো ৩০, বরবতি ৬০, ফুলকপি ১৫, বাঁধা কপি ২০, লাউ ২৫ থেকে ৩৫, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া লালশাক, লাউশাক, পালংশাক, মুলা শাক, কুমড়াশাক ও ডাটাশাকসহ সব ধরনের শাকের আঁটি ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫, দেশি পেঁয়াজ নতুন ২৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০, চায়না রসুন ৮০, শুকনা মরিচ ২০০, প্যাকেট চিনি ৫২, হলুদ ১১০, হলুদের গুঁড়া ১৬০, মরিচের গুঁড়া ২২০, দেশি মশুর ডাল ১১৫, ভারতীয় মশুর ডাল ৮০, খেসারি ডাল ৪৫, মুগ ডাল ১২০, ছোলা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি  প্যাকেট আটা ৩০ টাকা এবং ময়দা ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

কেজিপ্রতি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫২, মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৮, স্বর্ণা ৩৮, লতা ৪০, পাইজাম ৪০, বিআর ৪৩ এবং পারিজা ৩৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১১৭ থেকে ১২২ টাকায়। বোতলজাত ৫ লিটারের সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৫৬৫ থেকে ৫৯০ টাকায়।

বেড়েছে মাছের দাম। ইলিশ (ছোট) জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০, জাটকা ৩২০, মাঝারি আকারের ইলিশ জোঁড়া ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা। কেজিপ্রতি রুই ৩০০, কাতলা ৩২০, তেলাপিয়া ১৪০, কৈ (চাষের) ৩৮০ থেকে ৪০০, সিলভার ১০০, পাঙ্গাস ১০০, চিংড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা, শোল মাছ ৩৫০, মলাঢেলা ২০০, বাইলা মাছ ৪৫০, কাচকি মাছ ২৫০, সুরমা মাছ ১৬০, টাকি ২৪০, বোয়াল ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

৩০ টাকা বেড়ে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫১০ টাকা। দেশি মুরগি ৩৩০, মুরগি ব্রয়লার ১৬০, গরুর মাংস ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিহালি মুরগির ডিম (ফার্ম) ২৮ এবং দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৪২ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির ডিম ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top