সকল মেনু

নির্বাচনে বিএনপির নো কমপ্রোমাইজ

ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : উপজেলা নির্বাচনে একক প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে বিএনপি। ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ইতিমধ্যে ৮০ ভাগেরও বেশি উপজেলায় একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাকিগুলোতেও দ্রুত একক প্রার্থী নিশ্চিত হবে বলে মনে করছে দলটি। 

এজন্য কেন্দ্র থেকে তৃনমূলে নিবিড় যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি একক প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’ নীতি গ্রহন করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী এলাকায় দলের বিদ্রোহী নেতাদের বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নিতেও পিছপা হচ্ছে না দলের হাইকমান্ড।

দলীয় সূত্র জানায়, তৃনমূলের আত্মবিশ্বাস চাঙ্গা ও চলমান আন্দোলনে নেতাকর্মীদের মাঠে রাখতেই মূলত উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি। কেন্দ্র থেকেও এ নির্বাচনের ফল নিজেদের ঘরে তুলতে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষনে গঠন করা হয়েছে শক্তিশালী মনিটরিং সেল। এই সেল নির্বাচন কেন্দ্রিক আপডেট জানাচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। 

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে গুলশান কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন মনিটরিং সেলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। 

দলের একাধিক সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনের সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত মনিটরিং সেল ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ের প্রার্থীদের মনোবল বাড়াচ্ছে। এজন্য কাজ করছেন দফতরের দায়িত্বে থাকা দলের যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী আহমেদ, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ। 

সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনসহ পরবর্তিতে নির্বাচন বাতিলের আন্দোলনে ঢাকার কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে ক্ষুদ্ধ তৃনমূল নেতারা। ঢাকার নেতারা গা বাঁচিয়ে চলছে, অন্যদিকে তৃনমূল রয়েছে হামালা-মামলা-নির্যাতন আর আতঙ্কে। এ নিয়ে তাদের রয়েছে হতাশা। তৃনমূল আর কেন্দ্রের মধ্যে এ দুরত্ব ঘোচাতে আপাতত উপজেলা নির্বাচনের মাধ্যমে মাঠের নেতাদের ক্ষোভ সাময়িক চাপা দিতে চাচ্ছে বিএনপি। আর স্থানীয় এ নির্বাচনে ইতিবাচক ফলের মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিকে জোরালো করা যাবে বলে মনে করছে দলটি।

এজন্য উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল দলের পক্ষে নিতে একক প্রার্থী নিশ্চিত করার বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। দলের নির্দেশনা অমান্য করা নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করতেও দ্বিধা করছে না দলটি। 

মঙ্গলবার দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের স্বার্থবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৩ জেলায় বিএনপির ৩ নেতাকে বহিস্কার করা হয়। বিএনপি থেকে বহিস্কৃতরা হলেন, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গোলাম শওকত সিরাজ, মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলা বিএনপির সদস্য আবিদুর রহমান খান রোমান এবং শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেন। উপজেলা নির্বাচনে দলের নির্দেশ অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা দলের যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, ‘সিংহভাগ এলাকায় একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়েছে। বিদ্রোহ প্রার্থী ঠেকাতে আমরা তৃনমুলে সার্বিক দৃষ্টি রাখছি। যে কোনো উপায়ে প্রার্থীদের সমন্বয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আরেক যুগ্ম মহাসচিব মো: শাহজাহান। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, বড় একটি অংশে একক প্রার্থী দেয়া হয়েছে। বাকিগুলোর সমস্যা স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।

দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী রাইজিংবিডিকে বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনের দলীয়ভাবে সমর্থন দেয়ার সুযোগ নেই। স্থানীয়ভাবেই এ নির্বাচনের সবকিছু করা হয়ে থাকে। তবে কেন্দ্র থেকে সার্বিক বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে যাতে জাতীয়দতাবাদী প্রার্থীরা এককভাবে নির্বাচন করতে পারে। সেক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল আনা সহজ হবে।  

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top