সকল মেনু

তাজরীন চেয়ারম্যান মাহমুদার জামিন বাতিলের আবেদন

 আদালত প্রতিবেদক: তাজরীন ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতার জামিন বাতিলের আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আবদুল মান্নান এ আবেদন করেন। এই আবেদনের উপর শুনানীর জন্য ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মজিদ আগামি ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন। এর গত ১০ ফেব্রুয়ারি তাজরীন ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতাকে জামিন দেন ঢাকা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন পলাশ।এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নি কান্ড ঘটে। এর ফলে ১১১ জন মানুষ নিহত, দুই শতাধিক আহত হয়। পরদিন আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক খায়রুল ইসলাম অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। ওই মামলায় নাশকতার পাশাপাশি অবহেলাজনিত মৃত্যুর ( দণ্ডবিধির ৩০৪ ক) ধারা যুক্ত করা হয়। এরপরে গত বছর ২ জানুয়ারি সিআইডি এ মামলার তদন করেন্ত শুরু করে গত ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক এ কে এম মহসিনুজ্জামান খান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তাজরীনের চেয়ারম্যান ওএমডিসহ মোট ১২জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামিরা হলেন, দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কোয়ালিটি ম্যানেজার
শহিদুজ্জামান দুলাল, প্রডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল আমিন, ইনচার্জ আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, স্টোর ইনচার্জ আল আমীন ও লোডার শামীম মিয়া।আসামিদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন, তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহিদুজ্জামান দুলাল, প্রডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু পলাতক রয়েছেন।অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যা, নরহত্যা, অগ্নিসংযোগ করে সম্পদের ক্ষতি সাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করা হয়নি বলা হলেও অভিযোগপত্রে তেমন কোনো অভিযোগ উল্লেখ করা হয়নি। মামলায় ১০৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।অভিযোগপত্রে বলা হয়, কারখানা ভবনটি ইমারত নির্মাণ আইন মেনে করা হয়নি। শ্রমিকদের বের হওয়ার জন্য ভবনটিতে জরুরি বহির্গমন পথ ছিল না। তিনটি সিঁড়ির মধ্যে দুটি নিচতলার গুদামের ভেতরে এসে শেষ হয়েছে। ওই গুদামে আগুন লাগার পর শ্রমিকেরা বের হতে চাইলে কারাখানার ম্যানেজার শ্রমিকদের বাধা দিয়ে বলেন, আগুন লাগেনি। অগ্নিনির্বাপণের মহড়া চলছে। তিনি বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেন। ফলে শ্রমিকেরা নিচে নামতে পারেননি। মালিকের অবহেলাজনিত হত্যা ও নরহত্যার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লে খ করে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩২৫, ৪৩৬, ৩০৪, ৩০৪-ক ও ৪২৭ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top