সকল মেনু

ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে তুরস্কে ব্যাপক বিক্ষোভ

তুরস্কে ইন্টারনেটের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ বাড়াবে, এমন একটি আইনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এ সময় ইস্তানবুলে পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেলের জবাবে পুলিশ টিয়ারগ্যাস আর জলকামান ব্যবহার করেছে। নতুন এই আইন কার্যকর হলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা আদালতের নির্দেশনা ছাড়াই যেকোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে পারবে।

নতুন আইনটির প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে ইস্তানবুলের তাকসিম স্কয়ারে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। আর তখনি ব্যাপক সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল মারতে শুরু করে। পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস আর জলকামান দিয়ে পানি নিক্ষেপ করে।

গতবছর এই তাকসিম স্কয়ারেই ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। এ কারণে তাকসিম স্কয়ারের চারদিকে ছিল কড়া পুলিশি পাহারা।

জানা যায়, হাজার হাজার জনতা ইস্তানবুলের তাকসিম স্কয়ারের সামনের রাস্তায় মিছিল করেছে। তাদের সরিয়ে দিতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করেছে। তবে তা সত্ত্বেও বিপুল বিক্ষোভকারী রাস্তায় অবস্থান করছেন।

গত সপ্তাহে তুরস্কের পার্লামেন্ট প্রস্তাবিত নতুন আইনটি অনুমোদন করেছে।

এখন প্রেসিডেন্ট সাক্ষর করার পরই আইনটি কার্যকর হবে। এতে সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যে, আক্রমণাত্মক বা উস্কানিমুলক বলে সন্দেহ করলে, আদালতের নির্দেশনা ছাড়াই তারা যেকোনো ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে পারবে।

এছাড়া ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের গ্রাহকদের তথ্য দুইবছর পর্যন্ত সংরক্ষণ এবং কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করতে বাধ্য হবে।

বিরোধীরা অভিযোগ করছে, নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতেই সরকার এই আইন জারির চেষ্টা করছে। তবে সরকার দাবি করছে, এই আইন ইন্টারনেটকে আরও নিরাপদ আর স্বাধীন করবে।

গতবছর তুরস্কে যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছিল, তখন ফেসবুক আর টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালানো হয়।

গত ডিসেম্বরে সরকারের কয়েকজন শীর্ষ ব্যক্তির দুর্নীতির তথ্য ইন্টারনেটে ফাঁস হওয়ার পর থেকে সরকার এক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি আরোপের পরিকল্পনা শুরু করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top