সকল মেনু

সরকার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার ব্যবস্থা নেবে: প্রধানমন্ত্রী

বর্তমান সরকার আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর লালবাগ কেল্লায় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন,বাংলাদেশ ছোট হলেও এদেশে বিভিন্ন ইতিহাস-ঐতিহ্য রয়েছে।পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবন রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সেগুলো আরও আকর্ষণীয় ও উন্নত করা হচ্ছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এলাকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার আগামী প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেছেন, একজন মানুষের শুধু পেটে ভাত নয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কেও জানতে হবে। তাহলে মানুষ অনুপ্রেরণা পাবে ও নতুন কিছু শিখতে পাবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে লালবাগ কেল্লা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা শেষ  করে যেতে পারিনি। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে ঢাকার বুকে এই ঐতিহাসিক স্থাপত্য সংস্কারের আবার উদ্যোগ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, আজ ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’তে  আলো-আঁধারের মধ্য দিয়ে লালবাগ কেল্লার ইতিহাস বর্ণনা করা হবে। এ অনুষ্ঠানের জন্য সঠিক পাণ্ডুলিপি তৈরিসহ বাস্তবায়নে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁদের সবাইকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ভাষা শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, এই ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র মাধ্যমে লালবাগ কেল্লা ফিরে পাবে হারানো গৌরব। এই আয়োজন আত্মমর্যাদাবোধ জাগিয়ে তুলবে, অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে সাহস জোগাতে রুখে দাঁড়াবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সংস্কৃতিসচিব রণজিত কুমার বিশ্বাস, স্থানীয় সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিম, বিটিভির মহাপরিচালক ম. হামিদ প্রমুখ।

অতিথিদের বক্তব্য শেষে আলোকরশ্মি ও শব্দের সংমিশ্রণে প্রদর্শিত হয় ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’। লালবাগের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সোনালি সময় তুলে ধরা হয়।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ উদ্বোধনের পর আগামীকাল শনিবার থেকেই তথ্যচিত্রটি জনসাধারণের উপভোগ করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। শো শুরু হবে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর। ৩০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রটি প্রতি এক ঘণ্টা পর পর হবে। এক দিনে শো হবে তিনটি। এজন্য প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে ২০ টাকা। সার্কভুক্ত দেশের জন্য ১০০ টাকা এবং অন্য দেশগুলোর জন্য ২০০ টাকা। ৫০০ জন দর্শক একই সঙ্গে তথ্যচিত্রটি উপভোগ করতে পারবেন।

‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’র ধারা বর্ণনার পাণ্ডুলিপি তৈরি করেছেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। ধারা বর্ণনায় কণ্ঠ দিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং শিল্পী শিমূল ইউসুফ। গতকাল বৃহস্পতিবার সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এক সম্মেলনে জানান, ৩০ মিনিট দৈর্ঘ্যের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো কার্যক্রম সম্পাদনে ব্যয় হয়েছে দুই কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top