সকল মেনু

শনিবার কামরাঙ্গীরচর থানা আ.লীগের সিলেকশন

ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি : সরকার গঠন করে সাংগঠনিক বিভিন্ন চিন্তা ও পরিকল্পনা করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

আগামীকাল শনিবার বিকেলে কামরাঙ্গীচর থানা আওয়ামী লীগসহ তিনটি ওয়ার্ডের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টায় কামরাঙ্গীচর চর মেডিকেল (তুরার ঘাট) মাঠে এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে এ তথ্য রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক জামালউদ্দিন।

জামাল উদ্দিন জানান, কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বিশেষ অতিথি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং প্রধান বক্তা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, কামরাঙ্গীর চর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই হবে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে। সভাপতি পদে লড়াই করবেন- বর্তমান সভাপতি আবুল হোসেন সরকার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান সর্দার এবং আব্দুর রহিম।

অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বি দুই প্রার্থী হলেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজালাল মিয়া।

এছাড়া তিনটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই করছেন ১৩ থেকে ১৪ জন প্রার্থী।
এ ব্যাপারে কামরাঙ্গীচর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ড. মোশাররফ হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, কাল আমাদের থানাসহ ৫৫, ৫৬ এবং ৫৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় নির্দেশে সুশৃঙ্খলভাবে কাউন্সিল করার লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

‘কাউন্সিল কি সিলেকশন না, ইলেকশন হবে,আপনারা কি চান’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলীয় হাইকমান্ড দলকে গতিশীল করার জন্য, সংগঠনকে দুর্নীতি-গ্রুপিংবাজ ও টেন্ডারবাজ-কর্মীবান্ধব এমন নেতাদের হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেবেন না। আমরা এমনটাই আশা করি। সেক্ষেত্রে সিলেকশন বা ইলেকশন কোনো ফ্যাক্টর না।

ওই থানা আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেকশন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা শঙ্কায় থাকলেও কাউন্সিল ঘিরে মহানগর আওয়ামী লীগের আগামী দিনে নেতৃত্বে অনেক মেরুকরণ হতে পারে। এ লক্ষ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা পছন্দের লোকদের নেতা বানাবেন এটাই স্বাভাবিক।

প্রসঙ্গত এর আগে ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের অসমাপ্ত থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোর কাউন্সিল ফেব্রুয়ারি মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে মূল কাউন্সিল কবে নাগাদ হবে সে সম্পর্কে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা তেমন স্পষ্টভাবে কোনো কিছু না বলেননি।
তবে দলীয় সূত্রে জানা যায়, মার্চের শেষে মহানগরের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও আজ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। পরবর্তীতে ২৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে মহানগরের কমিটি ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি।

তবে নির্বাচনের আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ সালে রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে ঢাকা মহানগরের অর্ন্তগত কলাবাগান, নিউমার্কেট, হাজারীবাগ ও ধানমন্ডি থানা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মহানগর ইউনিটে ২৪টি থানা, ১০০টি ওয়ার্ড ও ১৮টি ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে। ২০০৩ সালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বিশেষ সম্মেলনে ঢাকার প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফকে সভাপতি ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ঢাকা মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে সভাপতি মোহাম্মদ হানিফ মারা যাওয়ার পর নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমএ আজিজকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৩ বছর পর পর সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের বিধান থাকলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেনি মহানগর আওয়ামী লীগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top