সকল মেনু

বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটনের ৩০ মডেলের ফ্রিজ মডেল ভেদে ১০ হাজার টাকা মূল্য ছাড়

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :
শীত প্রায় চলে গেছে। গরম পড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে ওয়ালনের ফ্রিজ। বিশেষ করে ওয়ালটনের তৈরি বড় আকারের সাইড বাই সাইড ফ্রিজটি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করেছে। এছাড়া বাণিজ্য মেলায় ৩০ টিরও বেশি মডেল এবং ৬৫ কালারের ফ্রিজ নিয়ে এসেছে ওয়ালটন।
অন্যদিকে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে মেলায় আসা নতুন মডেলের সাইড বাই সাইড ফ্রিজে ছাড় দেয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া মেলা থেকে কিনলে হোম ডেলিভারী এবং ফ্রি সার্ভিসও দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, সাইড বাই সাইড মডেলের ফ্রিজটি বরাবরই উচ্চমূল্যে বিদেশ থেকে আমদানি করা হতো। বাসা বাড়ি এবং শোরুমের শোভা বৃদ্ধির জন্যও এসব ফ্রিজ অপরিহার্য। ক্রমবর্ধমান মানোন্নয়ন এবং পণ্যের আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় উৎপাদনের উৎপাদন লাইনে যুক্ত হলো ডাব্লিউএসএস-৪এইচ৫ মডেলের এই ফ্রিজ। বিশ্বমানের ৪৮৫ লিটারের এই আকর্ষণীয় ফ্রিজ এখন ক্রেতা পছন্দের শীর্ষে। এর সাধারণ বাজার মূল্য ৭৯,৯০০ টাকা। মেলা উপলক্ষ্যে ১০ হাজার টাকা কমিয়ে ৬৯ হাজার টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে খুব শীগগিরই সাইড বাই সাইড ফ্রিজ রফতানি করা সম্ভব হবে।
ক্রেতাদের চাহিদা ও রুচিবোধকে মাথায় রেখে ওয়ালটন ৩০ টিরও বেশি মডেল এবং ৬৫ র’ও বেশি কালারের ফ্রিজ মেলায় নিয়ে এসেছে। এ ছাড়া ১২ মডেলের মোটরসাইকেল; ৩৫ মডেলের মোবাইল ফোনসেট; ৫ মডেলের জেনারেটর; স্মার্ট টিভি (এলসিডি, এলইডি, থ্রিডিএলইডি; সিআরটি টিভি; মাইক্রোওয়েভ ওভেন; বিভিন্ন মডেলের গৃহাস্থালী পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে মেলার ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে। প্রদর্শিত হচ্ছে বেশকিছু পণ্যের আপ-কামিং মডেল।
ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ আকরামুজ্জামান অপু জানান, দেশীয় ব্র্যান্ড হওয়ায় মেলাতে ওয়ালটন প্যাভিলিয়নের প্রতি মানুষের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। একই সঙ্গে মেলার প্রথম দিন থেকেই ওয়ালটনের সব ধরনের পণ্য আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, গত বছর বাণিজ্য মেলায় ১৩৬ প্রকার পণ্য ছিল, এবার তা কয়েক গুণ ছাড়িয়ে গেছে। এবারের মেলায় ফ্রিজের ক্ষেত্রে মডেল ভেদে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে।
ওয়ালটনের ক্রিয়েটিভ অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম বলেন, বাণিজ্যমেলায় ওয়ালটন কিছু নতুন মডেলের ফ্রিজ নিয়ে এসেছে। ফ্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে গেছে। গুনগত উচ্চমান অক্ষুন্ন রেখে উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ কমে গেছে। যার ফেলে ওয়ালটন ফ্রিজ এখন সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। ওয়ালটনের কারণে নি¤œ আয়ের পরিবারও এখন ফ্রিজ ব্যবহার করতে পারছে। উৎপাদন বৃদ্ধি সাপেক্ষে ভবিষ্যতে ওয়ালটন ফ্রিজের দাম আরো কমতে পারে।
ওয়ালটনের জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ূন কবির বলেন, ওয়ালটন ফ্রিজে শতভাগ কপার কনডেন্সার এবং ৮০ ভাগ এনার্জি সেভিং এলইডি ল্যাম্প ব্যবহৃত হয়। সাধারণ ফ্রিজের তুলনায় এ ফ্রিজের ডিপ অংশও অনেক বড়। ডিইসিএস প্রযুক্তির ফলে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top