সকল মেনু

সন্ত্রাস হিংসার রাজনীতি ছাড়ুন : রাষ্ট্রপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি : সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতি ছেড়ে সমঝোতার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার রাতে দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রথা অনুযায়ী ভাষণ দিতে গিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতি পরিবর্তনের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতি কখনো দেশ ও সমাজ অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। নির্বাচন বর্জনকারী দলগুলো সংঘাত ও নৈরাজ্যের পথ পরিহার করে  আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে হবে।’ সাম্প্রদায়িক ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সংশ্রব ত্যাগ করে উদার, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গতে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের সংবিধান সমুন্নত এবং সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন। রাষ্ট্রপতি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃংখলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মহাজোট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ২০০৯ সালে কতিপয় বিরোধী রাজনৈতিক দল  অসহযোগিতা ও সংঘাতের পথ গ্রহণ করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকেই তারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠে। বিরোধী দল ক্রমাগতভাবে সংসদ বর্জন এবং সংবিধান সংশোধনের কাজে সহযোগিতা করেনি।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সমঝোতার আমন্ত্রণ সংসদে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল প্রত্যাখান করে। বিরোধী দলকে সর্বদলীয় সরকারে যোগাদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। এমনকি মন্ত্রী সভার সদস্য হিসেবে তারা যে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণে আগ্রহী সে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বিরোধী দল সরকারের সে আমন্ত্রণে সাড়া না দিয়ে নির্বাচন প্রতিহত করার পথ বেছে নেয়।’ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নতুন সরকার গ্রহণের পর জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রাণ সঞ্চারিত হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ আরও সুসংহত ও গতিশীল হবে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা দূর করে রাষ্ট ও সমাজ জীবনে শান্তি শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। জাতীয় ঐক্যমত ব্যতীত শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থায়ী রূপ পেতে পারে না। গণতন্ত্রের ধারাবিহকতা, আইনের শাসন ও অব্যাহত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মত মৌলিক প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দল, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সকলের ঐকমত্য গড়ে তোলা সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষে স্পিকার আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত সংসদের অধিবেশন মূলতবি করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top