সকল মেনু

পড়াশোনার পরিবেশ এখনো ফেরেনি

 হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা, ১১ জানুয়ারি :  গাইবান্ধায় ভোটকেন্দ্রে দেয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয় নি এখনো। একেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দাড়িয়ে আছে সহিংসতার সাক্ষী হয়ে। গত পাঁচ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাত থেকে পরদিন পর্যন্ত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে নির্বাচন প্রতিহতকারীরা। এতে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ভাবে এবং কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুরোপুরিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনের দিন ভোরে আগুন দেয় স্থানীয় নির্বাচন প্রতিহতকারীরা। এতে ওই বিদ্যালয়ের আলমারি, ফাইলপত্র, শিক্ষা উপকরণ, আসবাবপত্র, বেঞ্চ, টিন, কাঠ, খুঁটি ও দরজা-জানলা পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানায়, আমাদের স্কুলের তো কোন অপরাধ ছিল না। তাহলে কেন আগুন দেয়া হলো? আগুনে বিদ্যালয়টির বেশীরভাগই পুড়ে যাওয়ায় ক্লাশ রুমগুলোতে বসার পরিবেশ নেই। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদি মো. আনোয়ারুল হক সরকার রাইজিংবিডিকে জানান, কর্তৃপক্ষকে বিদ্যালয়ের ক্ষতির কথা জানানো হয়েছে। একই অবস্থা পলাশবাড়ি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের বিশ্রামগাছি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অগ্নিসংযোগের ফলে উপজেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় এটি। নির্বাচনের আগেরদিন বিদ্যালয়টিতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলোর কোনটির দরজা-জানালা, কোনটির বেঞ্চ, আসবাবপত্র, টিনের চাল, শিক্ষা উপকরণ, কাঠ, খুঁটি পুড়ে গেছে। সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুরের বুড়িরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঞ্চ ও শিক্ষা উপকরণ পুড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। গোবিন্দগঞ্জে নারিচাগাড়ী দাখিল মাদ্রাসা, দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয় একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ২৫টি, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১৭টি, সদর উপজেলায় ৬টি, পলাশবাড়িতে ১৯টি ও সাদুল্যাপুরে ১৬টি বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার আজাহার আলী বলেন, ‘৩টি মাদ্রাসাসহ ২৬টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম এবং জেলা শিক্ষা অফিসার আজাহার আলী বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয় সংস্কার করে পুনরায় পাঠদানের উপযোগী করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top