সকল মেনু

‘খালেদা দুই কূলই হারালেন’-শেখ হাসিনা

 নিজস্ব প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা:  নির্বাচন ঠেকাতে ‘ব্যর্থ’ খালেদা জিয়াকে ‘চুপচাপ’ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন শেখ হাসিনা।  দশম সংসদ নির্বাচনের পর তা বাতিলের দাবিতে বিরোধী জোটের হরতাল-অবরোধ অব্যাহত থাকার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকে বক্তব্যে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনকে এই পরামর্শ দেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “উনি তো কোনো কিছুই পারলেন না। আর কী পারবেন? হরতাল-অবরোধ সহিংস কর্মসূচি দেয়া বন্ধ করেন। এখন একটু চুপচাপ থাকেন।” নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত ১৮ দল ভোট বর্জনের পাশাপাশি তা ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে হরতাল-অবরোধ ডেকেছিল। বিরোধী দলের হুমকির পর সংঞাত-সহিংসতায় ২১ জনের প্রাণহানি এবং শতাধিক ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের মধ্যে ৫ জানুয়ারি ভোট হয়, যাতে ৪০ শতাংশ ভোট পড়ে বলে ইসি জানিয়েছে। জনগণ এই ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি বলে দাবি করেছেন খালেদা জিয়া। এই ভোট বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচনের দাবিও তুলেছেন তিনি। এই দাবিতে টানা অবরোধ চালানোর ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, “উনি (খালেদা) একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার খেসারত কেন জনগণ দেবে। উনার তো মানুষকে দেয়ার কিছুই নেই। ক্ষমতায় থাকতে শুধুই নিয়েছেন।”

হরতাল-অবরোধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার জন্য বিএনপি সমর্থক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “নিজেদের ক্ষতির দিকটাও একটু দেখেন।” রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য আলোচনায় আসতে খালেদার প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসিনা বলেন, “দরজা খোলা আছে। জামাত-জঙ্গিদের ছেড়ে আলোচনা করতে আসেন।”

একদিন আগে সংবাদ সম্মেলনেও একই আহ্বান জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির জোটসঙ্গীর বিষয়ে কোনো পরামর্শ না দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর প্রতি পরামর্শ দেন খালেদা। সেইসঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাতিল করে সংলাপের আহ্বান জানান তিনি। বিরোধী দলবিহীন দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার গণমাধ্যমকে ‘ভালোভাবে’ প্রচারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অনেক উন্নত দেশেও এত ভোট পড়ে না।”
নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজও ৪০ শতাংশ ভোটকে স্ট্যান্ডার্ড বলেছিলেন, যদিও দেশে ই নির্বাচনের চেয়ে কম ভোট পড়েছিল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনে। প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, “নানা পত্রিকা নির্বাচনকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে চেয়েছে।” “অনেকে সন্ত্রাসে সহায়তা করছেন। আগুনের ছবি ছাপান, কেউ কেউ দেয়াশলাইও সরবরাহ করছেন।” নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “কিছু মানুষ আছে, অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসলে যাদের লাভ হয়। তারা ভাবে, অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় আসলে তারা পতাকা পাবে। “ফাইভ স্টার হোটেলে বসে মধ্যরাতে মিটিং করে দেশের সর্বনাশ করবেন না। কারা মিটিং করেন, সে খবর আমাদের কাছে আছে।” সংবাদ মাধ্যমকে ‘দায়িত্বশীল’ আচরণ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top