সকল মেনু

১ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর : ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার অবরোধের ডাক দিল বিএনপি। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক এ অবরোধ  চলবে বলে ঘোষণা দেয় দলটি।

সোমবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। রাজধানীর বারিধারায় নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয় ওই সংবাদ সম্মেলনে। খন্দকার মাহবুব বলেন, মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে সরকার ভয় পেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সারা দেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরীকেও গ্রেফতার করে সরকার তার স্বৈরাচারী মনোভাবের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এ দেশের মানুষ বিএনপির ডাকে রাস্তায় নেমেছে। সরকারকে ৫ জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, ঘোষিত তফসিল বাতিল করে সমঝোতার মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। দাবি মানা না পর্যন্ত অবরোধ চলবে। তবে ‘গণতন্ত্রে জন্য অভিযাত্রা’ কর্মসূচি বলবৎ থাকবে কি না, সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।

তিনি বলেন, ১ জানুয়ারি বুধবার ভোর ছয়টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক শান্তিপূর্ণ অবরোধ চলবে। শান্তিপূর্ণ অবরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে বাধা দিলে এর পরিণতি ভালো হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে সোমবার সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণকে রাস্তায় নামারও আহ্বান জানান খন্দকার মাহবুব।

আদালত প্রাঙ্গণ অপবিত্র করেছে সরকার-সমর্থকরা: খন্দকার মাহবুব

সরকার-সমর্থকরা আদালত প্রাঙ্গণ অপবিত্র করেছে। মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রাতে এ কর্মসূচি ঘোষণার আগে সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মাহবুব এই মন্তব্য করেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানের নামে সরকার দেশের গণতন্ত্র জ্বালিয়ে দিচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যারা দায়ী, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

তিনি আরো বলেন, সংবিধানে নির্বাচনের দুটি বিকল্প রয়েছে । এক. আগামী ২৪ জানুয়ারি সরকারের মেয়াদ শেষ হলে। দুই. সেটা সম্ভব না হলে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা যাবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের এসব তাণ্ডবের জন্য এবং দেশের গণতন্ত্র জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য যারা দায়ী, একদিন তাদেরও অবস্থা খারাপ হবে। দেশের এ অবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেন তিনি।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে উদ্দেশ করে মাহবুব হোসেন বলেন, আপনারা আমাদের ভাই ও পুত্র। আপনারা গণতন্ত্র রক্ষা করুন। দেশে গৃহযুদ্ধ বাধলে আপনাদের আত্মীয়স্বজনও ছাড় পাবেন না।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী।

বার কাউন্সিলের সদস্য ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের মুক্তি দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এ সময় তিনি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top