সকল মেনু

নড়াইলে জামায়াত-শিবিরের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে ওসিসহ ৯ পুলিশ আহত, ছাত্রশিবিরের ৫ কর্মী গুলিবিদ্ধ

Narail-05 (11.12.13)ফরহাদ, নড়াইল প্রতিনিধি :  অবরোধ চলাকালে সকাল ৭টার দিকে নড়াইল-মাগুরা সড়কের ঘোড়াখালিতে জামায়াত-শিবিরের সাথে পুলিশের ঘণ্টাব্যাপি সংঘর্ষে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মুক্তার হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দীন, শহর উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) পান্নু শেখসহ ৯ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ওসি মুক্তার হোসেনকে আশংকাজনক অবস্থায় যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া আহত হাবিলদার বাবুল, কনস্টেবল সাইদুর জামান সাইদ, শরিফুল ইসলাম, রকিব হোসেন, হাসান ও হিজবুল্লাহকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রশিবিরের ৫নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশকে বহনকারী একটি মিনি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা।

এ ঘটনার পরপরই নড়াইল শহরে এক প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‌্যাব টহল দিচ্ছে। বর্তমানে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এদিকে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ডুমুরতলা এলাকায় ১নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (নড়াইল পৌরসভা) ইমরুল কায়েসসহ আব্দুর রহিম, আজিজার রহমান, হারুন অর রশিদ, তহিদুর রহমান, ওয়ার্ড সভাপতি শরিফুল ইসলাম বেগ ও রাজ্জাক মোল্যার বাড়িতে হামলা চালিয়ে একাধিক টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, শো-কেস ও আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ব্যাপক ভাঙচুর করে।

এ সময় পুলিশ ১০ ভরি স্বর্ণালংকাসহ মূল্যাবান সামগ্রী লুট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে, পুলিশ বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা অস্বীকার করেছে। নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। এলাকায় বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। নড়াইলের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বিএম নুরুজ্জামান জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে কত রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ৭০-৮০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।Narail-04 (11.12.13)

এদিকে, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে জামায়াত-শিবির কর্মীরা সকালের দিকে নড়াইল-যশোর সড়কের তুলারামপুর ও নড়াইল-লোহাগড়া সড়কের চৌগাছা এলাকায় ১৫টি গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আব্দুল সাদীর বাসভবনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ককটেলটি বাসভবনের রাবান্দায় বিস্ফোরিত হলেও কেউ হতাহত হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top