সকল মেনু

আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস

xnur-0020131110000708.jpg.pagespeed.ic.OgLZtKSqMv আফিফা জামান, ঢাকা, ১০ নভেম্বর:  ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশের রাজনৈতিক লড়াই-সংগ্রাম ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় দিন।

গণতন্ত্র জন্মালাভের দ্বিতীয় অধ্যায়। এদিনেই স্বৈরাচারী শাসকের পতন-আন্দোলন ত্বরান্বিত করে নূর হোসের আত্মাহুতি। সময়টা ছিল ১৯৮৭ সাল। তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন নূর হোসেন। তার আত্মাহুতি নতুন গতি দিয়েছিল আন্দোলনে। বুকের রক্তধারা আন্দোলনে এনে দেয় স্ফুলিঙ্গ। ওই দিন স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি। বুকে-পিঠে ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ লিখে কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন নূর হোসেন। কিন্তু স্বৈরাচারের বুলেট এসে বিদ্ধ হয় তার বুকে। সেদিন রাজধানীর জিরো পয়েন্টে তার জীবন প্রদীপ নিভে গেলেও জ্বলে ওঠে স্বৈরাচার পতনের অগ্নিশিখা। এরপর থেকে নূর হোসেনের বুকে-পিঠে লেখা এই শ্লোগান ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ হয়ে ওঠে আন্দোলনের প্রতীক।

সেই একইদিনে ঘাতকের গুলিতে আরও দুজন প্রাণ হারান। একজন হলেন যুবলীগ কর্মী নূরুল হুদা ও কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের ক্ষেত মজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো। আন্দোলনের দাবানলে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। দিবসটি পালনে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও তার রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top