এম এইচ হোসেন, খুলনা থেকে :: মহানগরীর বসুপাড়া বাঁশতলা মোড়ে বুধবার রাতে রেজওয়ান হোসেন সুমন (২৪) নামে যুবলীগের এক কর্মী প্রতিপক্ষের ধারালেঅ অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছে। সে মহানগরীর অভিজাত শপিং মার্কেট ‘খুলনা শপিং কমপ্লেক্সে’র একটি গার্মেন্টস দোকানের কর্মচারী বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী জানানিয়েছে, সুমন রাত সাড়ে সাতটার দিকে বসুপাড়া এলাকার বাঁশতলা মোড়ে বন্ধুদের সাথে অবস্থান করছিল। কিছুক্ষণ পর ৪/৫ জন যুবক মটর সাইকেলযোগে সেখানে ্আসে এবং তাকে ঘিরে ধরে কথা বলে। এ সময় সুমনের বন্ধুরা একটু দূরে অবস্থান করছিল। মটর সাইকেল আরোহীরা সুমনের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে আহত করে। সুমন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় দূরে থাকা সুমনের বন্ধুরা এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা মটর সাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সুমনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুমনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একটি চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধীক চিহ্ন রয়েছে। নিহত সুমন বসুপাড়া নর্থখাল ব্যাংক রোড এলাকার আব্দুল জলিলের একমাত্র পুত্র সন্ত্রান। দুপুরে সে বাসা থেকে বের হয়। পারাবিারিক সূত্র জানায়, হরতালের কারণে মার্কেট বন্ধ থাকায় সুমন এলাকায় ছিল এবং বন্ধুদের সাথে অবস্থানকালে সৃষ্ট বিরোধে হামলার শিকার হয়ে নিহত হল। এ ঘটনার পর পুলিশ এলাকা পরিদর্শন করে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে এলাকায় ব্যাপক অভিযান চালায়। র্যাব সদস্যরাও ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। সন্ত্রাসী হামলায় আরও ৩ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ হত্যাকান্ডের আগে ওই এলাকায় একটি দোকানে মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।