ঢাকা: নিরাপত্তার কারণে পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে বিমানবন্দরে ঢোকার পথে যাত্রীদের দেহতল্লাশী থেকে শুরু করে লাগেজসহ সবকিছুই পরীক্ষা করা হয় এবং সব ঠিক থাকলে তার পরই ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার নামে নগ্নতাকে তো কেউ সমর্থন করতে পারে না। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে।
শুক্রবার যুক্তরাজ্য ভিত্তিক গণমাধ্যম ডেইলি মেইলসহ আরো কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর ভোর ৬টার দিকে লেডি কেলি হ্যাডফাইড হাইড (৫১) ও আন চাডউইক (৪৮) নামে দুই জন নারী স্পেনের মাগালায় যাওয়ার উদ্দেশে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিমানবন্দরে হাজির হয়। এসময় বিমানবন্দরে ঢোকার পথে তারা দুই জনই বাধার মুখে পড়ে।
কর্তৃপক্ষ তাদের দুই জনকে বলে,‘তোমাদের কাছে যা আছে তা খুলে দেখাও।’ এসময় ওই দুই নারী শরীরের সব কাপড় খুলে কর্মকর্তাদের দিকে ছুড়ে মারেন। এ ঘটনায় উপস্থিত সবাই হতবাগ হয়ে যায় । পাশ থেকে এক নারী এসে তাদের আবার কাপড় পরিয়ে দেয়।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা ওই দুই নারীর কাছে যা আছে তা দেখাতে বলেছিল আর তাতেই তারা নগ্ন হয়ে পড়ে। কেলি ও চাডউইক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ কাজ করেছে।
এ ঘটনায় ওই দুই নারীকে তৎক্ষনাত গ্রেপ্তার করা হয়। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি আদালতে তাদের বিচার সম্পন্ন করে রায় ঘোষণা করা করেছে। রায়ে তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
রায় শোনার পর কেলি ও চাডউইক অনেকটা অবাক হয়ে বলেন, আমরা এমন কোনো অপরাধ করেনি যার জন্য তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।