সকল মেনু

ঈদে রেকর্ড পরিমান ফ্রিজ বিক্রি করেছে ওয়ালটন

jpg-1 অর্থনৈতিক প্রতিবেদক,হটনিউজ২৪বিডি.কম : এবার কোরবানির ঈদে রেকর্ড পরিমান ফ্রিজ বিক্রি করেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। প্রায় ২ লাখ পিস ফ্রিজ বিক্রি করেছে তারা। এর আগে গত কোরবানির ঈদে এক লাখ ৩০ হাজার ফ্রিজ বিক্রি করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।জানা গেছে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বিক্রির যে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো তা পূরণ হয়েছে ওয়ালটনের। গত বছরের তুলনায় ওয়ালটন এবার প্রায় দ্বিগুন ফ্রিজ বিক্রি করেছে। আশাতীত বিক্রি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর বিক্রির প্রধান মৌসুম হচ্ছে কোরবানির ঈদ। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলো হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব দূর্গাপূঁজা। এই দুটি উৎসবকে কেন্দ্র করে রেফ্রিজারেটর বিক্রেতারা আগে-ভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে কেবল ওয়ালটন ও মার্সেলই বাংলাদেশে ফ্রিজ তৈরি করে থাকে। চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করে এদুটি কোম্পানি। বাকি সামান্য কিছু ফ্রিজ আমদানি করা হয়। যদিও আমদানির পরিমান ধীরে ধীরে কমে আসছে। কারন দেশেই এখন তৈরী হচ্ছে বিশ্বমানের ফ্রিজ।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে তাদের প্রস্তুতি ছিলো দুই লাখ ফ্রিজ বিক্রির। সেটি প্রায় পূরণ হয়েছে। বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ও বাজার বিশ্লেষণ করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ ধারনা করছে -আগামী ঈদে ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুণ হতে পারে।
কোরবানির মাংস সংরক্ষণ এবং গরম আবহাওয়ার কারণে এবার রেকর্ড পরিমান ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, জীবন যাত্রার মানোন্নয়ন ইত্যাদি কারণে ফ্রিজের চাহিদা বাড়ছে। ফ্রিজ আর এখন বিলাসপণ্য হিসেবে গণ্য হচ্ছে না। নি¤œ ও মধ্যম আয়ের পরিবারের জন্যও ফ্রিজ এখন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের গরম আবহাওয়া, অত্যধিক আর্দ্রতা এবং বাতাসে ধুলির পরিমান বেশি হওয়ায় খাবার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন বাজার করাও সম্ভব হচ্ছে না। সবমিলিয়ে রান্না করা খাবার ও তরিতরকারি সংরক্ষণে ফ্রিজ অতীব প্রয়োজনীয় পণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ওয়ালটনের বিপনন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার বলেন, ঈদের আগে ওয়ালটন প্লাজা ও ডিস্ট্রিবিউটর শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো। প্রোডাক্ট বিক্রি এবং সরবরাহ করতে বিক্রেতাদের গলদঘর্ম অবস্থা হয়েছে। ঈদের ব্যাপক বিক্রি প্রমাণ করেছে- বাংলাদেশে তৈরি ফ্রিজের উপর ক্রেতাদের পূর্ণ আস্থা এসেছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পণ্যের মান আরো উন্নত হওয়ার ফলে দেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদাও ব্যাপকহারে বাড়ছে। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের ক্রেতাদের আস্থার প্রতিদান দিতে এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ওয়ালটনের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রয়েছে।
জানা গেছে, বাংলাদেশে ফ্রিজের বার্ষিক চাহিদা ১০ থেকে ১১ লাখ। এর বিপরীতে ওয়ালটন ও মার্সেলের উৎপাদন ক্ষমতা যৌথভাবে প্রায় ১৪ লাখ ফ্রিজ। অর্থাৎ দেশের চাহিদা মিটিয়েও ফ্রিজ রফতানি আরো বাড়ানোর মাধ্যমে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top