সকল মেনু

কলাপাড়ায় যুবলীগ নেতাসহ ১৬ জন জখম রাসেল স্মৃতি সংসদ ভাংচুর

download  নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৭ অক্টোবর : কলাপাড়ায় হরতাল সমর্থকরা সশস্ত্র হামলা চালিয়ে নীলগঞ্জ ফেরিঘাটে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ কার্যালয় ভাংচুর করেছে। এসময় ইউনিয়ন যুবলীগ সভপতি শামীম খলিফা, সহসভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার মল্লিক, যুবলীগ কর্মী সুজন খলিফা, মামুন হাওলাদার, ফারুক আকন্দ, আলআমিন মল্লিক, রাজু প্যাদা, দেলোয়ার হাওলাদার, তাপসসহ অন্তত ১৬জন জখম হয়। এর মধ্যে শামীম ও তোফাজ্জেলকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আটজনকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের অভিযোগ শাহীন মাদবরের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় সোহেল খলিফার মোবাইল ও পেট্রোলের দোকান ভাংচুর, তছনছ করা হয়। লুটপাট করা হয় নগদ টাকা। এদিকে পুলিশ এরপরেই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদ মাদবরের বাড়ির বৈঠকখানায় চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাদের সমর্থক মানিক, মার্জান, জিয়ারুল ও মিরাজ হরতাল বিরোধীদের হামলায় আহত হয়েছে। অপরদিকে চাকামইয়া ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সাবেক মেম্বার আব্দুর রাজ্জাককে মারধর করে দুই পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। জমি জরীপ সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত সমর্থকরা শনিবার দুপুরে তার উপরে হামলা চালায় বলে আহতের অভিযোগ। রাজ্জাককে আশঙ্কা জনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিমে পাঠানো হয়েছে। এদিকে কলাপাড়ায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে শহরে হরতাল বিরোধী মিছিল করেছে। শহরে বিএনপির হরতালের পক্ষে কোন মিছিল মিটিং হয়নি। কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কে বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা ব্যাপক পিকেটিং করেছে। শহরের সকল দোকানপাট খোলা ছিল। দুরপাল্লার কোন বাস চলাচল করেনি। শামীম খলিফাসহ নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে নীলগঞ্জ ফেরিঘাট মহাসড়ক চৌরাস্তায় ছাত্রলীগ যুবলীগ প্রতিবাদ সভা করে। বর্তমানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top