সকল মেনু

ধান চাষ বদলে দিচ্ছে কুড়িগ্রামের কৃষি চিত্র

Kurigram  DHan Pic-03 ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ  খরা সহিষ্ণু আগাম জাতের ধান চাষ বদলে দিচ্ছে কুড়িগ্রামের কৃষি চিত্র। ব্রিÑ৫৬ জাতের খরা সহিষ্ণু ধান জেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে চাষ করে লাভবান হয়েছেন অনেক কৃষক। আশ্বিন ও কার্তিকের অভাবের সময়ে এ জাতের ধান ঘরে তুলতে পারায় কৃষকরা দারুণ উপকৃত। পাশাপশি নতুন শস্য বিন্নাস পদ্ধতিতে একই জমিতে ৪বার ফসল ফলাচ্ছেন কৃষকরা। স্বল্প মেয়াদী আমন ধান, সরিষা, মুগডাল, পরিজা ধানের আওতায় স্বল্প মেয়াদী ও খড়া সহিষ্ণু ব্রি-৫৬ধান চাষ করছেন কৃষকরা। মাত্র কিছুদিন আগেও আশ্বিন ও কার্তিক মাসে এ অঞ্চলে মাঠে কোন উঠতি ফসল না থাকায় কৃষকরা বেকার বসে থাকতো। এখন পাল্টে গেছে চিত্র। জেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পাকা ধানের সোনালী শিষ। কৃষক ব্যস্ত নতুন ধান ঘরে তোলার কাজে।

ব্রি ধান -৫৬ স্বল্পমেয়াদী হওয়ায় কারনে পোকা মাকড়ের উপদ্রব শুরু হওয়ার আগেই ধান কেটে ফেলা যায়। এতে কৃষক কীটনাশক প্রয়োগের খরচ থেকে রেহাই পায়, যা পরিবেশ সহায়ক। এছাড়া স্বল্প মেয়াদী হওয়ার করনে কার্ত্তিক ও অগ্রাহন মাসে খড়ার কবলে পড়ার আগেই যেহেতু এই ধান পেকে যায় সে কারনে সম্পূক সেচের প্রয়োজন হয় না। এতে বাড়তি খরচ থেকেও রেহাই পায় কৃষক। অন্তর্জাতিক ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট এর সহায়তায় আরডিআরএস বাংলাদেশ ২০১০ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ব্রি-ধান-৫৬ চাষ সম্প্রসারনে কুড়িগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে। বুধবার জেলা সদরের বেলগাঁছা ইউনিয়নের আত্মারাম গ্রামের ব্রি-ধান ৫৬ কর্তন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় মাঠ দিবস। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রতীপ কুমার মন্ডল। আরডিআরএস কুড়িগ্রামের সহ সমন্বয়কারী আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অন্যান্য মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি তত্ব বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ডঃ ময়নুল হক, সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মজুনুর রহমান, আরডিআরএস বাংলাদেশ এর কৃষি ও পরিবেশ সমন্বয়কারী মোঃ মামুনুর রশিদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আতাউর রহমান, বেলগাছা ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ নূরুল ইসলাম, কৃষখ ফোরামের সভাপতি মোঃ ইছার উদ্দিন, আরডিআরএস এর সিনিয়র কৃষি অফিসার কে এম রবিউল কবির প্রমূখ। বক্তরা বলেন ব্রি-৫৬ জাতের ধান লাগানোর একশো পাঁচ দিনের মধ্যে কৃষক ধান কাটতে পারছেন। এতে একদিকে যেমন অভাব দূর হচ্ছে অন্যদিকে নিরসন হচ্ছে গোÑখাদ্যের সঙ্কট। চলতি মৌসুমে জেলায় আগাম জাতের বিভিন্ন ধানের আবাদ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে। খরা সহিষ্ণ আগাম জাতের এ ধানের চাষ আরো সম্প্রসারিত হলে এ অঞ্চলের চিরচেনা আশ্বিন কার্ত্তিক’র অভাবের দৃশ্যপট সম্পূর্ন রুপে বদলে যাবে বলে এমনটাই মনে করছে সংশ্লিষ্টরা ।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top