সকল মেনু

১৯৪ কোটি টাকার চুক্তি সই কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে

ILO20131022195853  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা, ২৩ অক্টোবর :  পোশাক শিল্পের উদ্ভ’ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ২৪.৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৯৪ কোটি টাকা অনুদান সহায়তা বাংলাদেশকে প্রদান করবে নেদারল্যা- সরকার, ডিএফআইডি এবং আইএলও। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতককরণে এ প্রকল্প ২০১৩-২০১৬ মেয়াদে ব্যবহার করা হবে। পরবর্তীতে কানাডা সরকারের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর হবে। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর রুপসী বাংলা হোটেলে বাংলাদেশ সরকার, আইএলও, নেদারল্যান্ড সরকার এবং ডিএফআইডি মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। একই সঙ্গে ‘ইমপ্রুভিং ওয়ার্কিং কনডিশন ইন দ্যা আরএমজি সেক্টর’ শীর্ষক প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী রাজি উদ্দিন রাজু ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা.দীপু মনি। এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা, ব্রিটিশ হাইকমিশনার এইচ ই রবার্ট ডব্লিউ গিবসন, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এইচ ই গার্ডেন ডি জং, আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিভাস বি রেড্ডি, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার, অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগ সচিব আবুল কালাম আযাদসহ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১২ সালের ৪ নভেম্বরের তাজরিন অগ্নিকাণ্ড এবং চলতি বছরের ২৪ এপ্রিলের রানা প্লাজা দুর্ঘটনা তৈরি পোশাক শিল্পকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে, বিশেষ করে এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার বিষয়টি। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই সরকার, সহযোগি দেশ ও সংস্থার সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন-আইএলও এ প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে। প্রকল্পটির উদ্বোধনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‍“পোশাক খাত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঙ্গনের বড় খাত এবং সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স উপার্জনকারী সেক্টর। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় এ শিল্প সংকট মূহূর্তে পড়ছে। এ সংকট কাটাকে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০১০ সালে একবার শ্রমিক মজুরি বাড়িয়েছে। বর্তমানে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর জন্য মজুরি বোর্ড কাজ করছে। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে এ শিল্পের সংকট কাটবে এবং এ চুক্তির মাধ্যমে তা আরো তরান্বিত করবে।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘একর্ড অ্যান্ড অ্যালাইন্স’ পোশাক শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। আইএলও টেকনিক্যাল সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশ এখন যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত। ১৯৯৭ সালে আমরা শিশু শ্রমের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। সকলের সহযোগিতায় বর্তমান সংকটও মোকাবিলা করবো।

নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসিডর গার্বেন দ্য জর্ড বলেন, ‘রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনের ট্রাজেডির ফলে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যে ইমেজ সংকটে পড়েছে, তা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব না। তবে এই চুক্তির মাধ্যমে বোঝা যায়, সবাই এক সঙ্গে এই ধরনের দুর্যোগ প্রতিরোধে কাজ করলে তা সম্ভব। যদিও ভবিষ্যতে আর এরকম দুর্ঘটনা হবে কিনা এ বিষয়ে আমরা কেউ কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারিনা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top