বাম জোটের সমাবেশ

ফ্যাসিবাদী শাসন বহাল রেখে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে মন্তব্য করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। জোটটির নেতারা অবিলম্বে ফ্যাসিবাদী সরকার পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, সংখ্যনুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চালুসহ টাকা, পেশী শক্তি, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত নির্বচনের জন্য নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি জানান।

শনিবার (১৮ মার্চ) বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে পল্টন মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশফো মিশু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।

জোটের নেতারা বলেছেন, চালসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও সমন্বয়ের নামে প্রতি মাসে গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারিত্ব-নির্যাতন বন্ধ করা, শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা, শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা, গ্রাম শহরের শ্রমজীবীদের জন্য আর্মিরেটে রেশনিং ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করা। নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করা, আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি এবং ভূমির অধিকার ও জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

তারা আরো বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের নজির ৫২ বছরে বাংলাদেশে নেই। তার ওপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচন ও সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন দেখিয়ে দিয়েছে সব পর্যায়ের নির্বাচনকে কলুষিত করে ক্ষমতায় থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।

সমাবেশ শেষে নগরীর বিভিন্ন পথে মিছিল বের করেন জোটের নেতারা।