আগামী ১৫-১৯ শে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও তীব্র বজ্রপাত বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা (৭০-৮০ শতাংশের বেশি) আছে।
সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে ওই সময়ে কৃষকদের জন্য করণীয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে ওই সময়ে দেশের সব জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর ওপর। সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত ঝুঁকি রয়েছে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সব জেলায়, ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
ওই সময়ে ঢাকা শহরের ওপর দিয়েও কালবৈশাখী ঝড় অতিবাহিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জেলায় ৩০-৭০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
যেহেতু সম্ভাব্য কালবৈশাখী ঝড়টি এই মৌসুমের প্রথম ঝড় হবে তাই সম্ভাব্য এই ঝড় থেকে বৃষ্টি অপেক্ষাকৃত কম হবে, তবে প্রচণ্ড রকমের ধূলিঝড় হবে। সবচেয়ে বেশি ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ১৭-১৮ মার্চ। ১৫ মার্চের আগেই দুই-একটি জেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। তবে দেশব্যাপী কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
কৃষকদের পরামর্শ
আলু ও সরিষা তুলে ফেলার মতো হলে তা দ্রুত মার্চের ১৪ মার্চের মধ্যে তুলে ফেলা উত্তম হবে। অন্যান্য কৃষি শস্যের জন্য আপনার এলাকার কৃষি অফিসার বা ব্লক সুপারভাইজারের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।