সকল মেনু

বাসচাপায় প্রাণ গেল অটোরিকশার সব যাত্রীর

হটনিউজ ডেস্ক:

বগুড়ায় বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরতলীর দ্বিতীয় বাইপাস সড়কের সুজাবাদ দহপাড়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এদিকে নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক জেলার গাবতলী উপজেলার কদমতলী এলাকার বাসিন্দা হযরত আলী (৫০) ও ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী (৬০)।

বগুড়ার শাজাহানপুর থানাধীন কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোর্শেদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে ঘটনাস্থলে থাকা কৈগাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ আলী জানান, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা স্বদেশ ট্রাভেলস্ নামে একটি বাস ঢাকা যাচ্ছিল। আর সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি বগুড়া শহর থেকে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ির দিকে যাচ্ছিল। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসটি সুজাবাদ দগপাড়া মোড়ের কাছে পৌঁছলে অটোরিকশাটি হঠাৎ ডান দিক থেকে বাম দিকে যেতে শুরু করলে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জানান, খবর পেয়ে তারা ১১টা ৫০ মিনিটে ঘটনাস্থলে এসে ৪ জন নিহত হওয়ার খবর পান এবং এক মহিলাসহ ৩ জনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।

তিনি বলেন, পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি অটোরিকশার চালক হযরত আলীর লাশ তার স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে গোলাম রব্বানী নামে অপর একজনের পরিচয় তার ছেলে ফয়সাল নিশ্চিত করেছেন। তবে নিহত অপর এক মহিলার পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত ১০ বছরের এক কন্যা শিশুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শজিমেক হাসপাতাল ফাঁড়ির কনস্টেবল জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আহত ১০ বছর বয়সী মেয়েটিকে হাসপাতালে আনার পর পরই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার ধারণা শিশুটি নিহত মহিলার সন্তান হতে পারে।

দুর্ঘটনা কবলিত বাসে কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সেটা জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘কে বা কারা আগুন দিয়েছে সে সম্পর্কে স্থানীয়রা মুখ খুলছেন না।’

বগুড়া শজিমেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহতদের মধ্যে দুপুর পৌনে ৩টা পর্যন্ত ১০ বছর বয়সী শিশু ছাড়া অন্যদের লাশ মর্গে আসেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top