সকল মেনু

ইসির চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা: প্রধানমন্ত্রী

 PM-Sangsad-edআছাদুজ্জামান,সংসদ থেকে , হটনিউজ২৪বিডি.কম ,৯অক্টোবর: ভোটের সময় ক্ষমতায় থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে দশম সংসদ নির্বাচন আয়োজনে এগিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বুধবার সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান। সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপির ভোট বর্জনের হুমকির কারণে রাজনৈতিক সঙ্কটের শঙ্কাও প্রকাশ করা হচ্ছে। সরকারি দলের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচনের সময় নির্বাচনের যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যখন যেভাবে চাহিদা দেয়, সে অনুযায়ী সরকার দ্রুত মোতায়েনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হলেও ২০০১ সালে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০৯ সালে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞা থেকে সেনাবাহিনীকে বাদ দেয়া হয়। নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজন হলে দশম সংসদ নির্বাচনেও সেনাবাহিনী চাওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নির্বাচনের সময় প্রার্থী ও দলগুলো যাতে আচরণবিধি মেনে চলে, সেজন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারিক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।” সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচনের সময় নবম সংসদ বহাল থাকবে, ক্ষমতায় থাকবে নির্বাচিত সরকার অর্থাৎ আওয়ামী লীগ। এভাবে নির্বাচন হলে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে না বলে দাবি করছে বিএনপি। নির্বাচন কমিশনও সরকারের ‘আজ্ঞাবহ’ বলে অভিযোগ তাদের।

শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচন কমিশন বর্তমান সরকারের মেয়াদে একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে।” সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে জন্য নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, তা ছাপার ব্যবস্থা করা, অতিরিক্ত ৪০ হাজার স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও অন্যান্য নির্বাচনী মালামাল কেনার ব্যবস্থা করা, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের কর্মসূচি গ্রহণের কথা তুলে ধরেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top