সকল মেনু

পোশাক কারখানার আগুনে ১০ শ্রমিকের মৃত্যু

xFire-0120131008185208.jpg.pagespeed.ic.eSNNwQkl0f জেলা সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৯ অক্টোবর:  গাজীপুরের শ্রীপুরে পলমল গ্রুপের একটি গার্মেন্টে আজ মঙ্গলবার বিকালের আগুনে পুড়ে দশ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় অর্ধশতাধিক। গাজীপুর ফায়ার ব্রিগেডের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু জাফর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেরাইদেরচালা এলাকায় পলমল গ্রুপের আসওয়াদ নিটিং এন্ড ডায়িং কম্পোজিট কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মৃত দশ জনের মধ্যে কারখানার এজিএম রাশিদুল ইসলাম মণ্ডলসহ তিন জনের নাম জানা গেছে। অপর দু’জন হলেন, কারখানার ফিডারম্যান নয়ন (রংপুর) এবং টাইম কিপার রাজু আহমেদ। অন্যদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। লাশ দাফনের জন্য সরকার নিহতের পরিবারপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে প্রদান করবে বলে জানা গেছে।  এদিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে ৭ সদস্যেরেএকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে গঠিত এ তদন্ত কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

গভীর রাত পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের প্রাণান্ত চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত করে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আবু জাফর আহমেদ বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো রাসায়নিক থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় আসওয়াদ কম্পোজিট কারখানায় নিটিং সেকশনের স্ট্যান্ডার্ড মেশিনের ওপর ধোঁয়া বের হওয়ার পাইপ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে কারখানার তিনতলা দু’টি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে এ আগুন। সেসময় কারখানায় কর্মরত ছিলেন ১২শ’ শ্রমিক। হুড়োহুড়ি করে কারখানা থেকে বের হতে গিয়ে কমপক্ষে অর্ধশত শ্রমিক আহত হন।আগুন লাগার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও তা বিকল হয়ে যায়। ফলে ব্যাবস্থা নিতে দেরি হয়। পরে ভালুকা ও গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।

কয়েকজন শ্রমিক জানান, আসওয়াদ কারাখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে গাজীপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে আসে। তারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলে হঠাৎ করেই বয়লার বিস্ফোরণ হয়।
বয়লার বিস্ফোরণের পর পুরো কারাখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে আগুন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের আরো কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। সন্ধ্যা পৌনে ৭টা থেকে একটানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এতে বিপুল পরিমাণ সুতা ও ফেব্রিক্স ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারখানার ডায়িং সেকশন-১-এর সিনিয়র অপারেটর মো. খায়রুল ইসলাম। তবে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top