সকল মেনু

এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর মারামারির ঘটনা গড়াল আদালতে

হটনিউজ ডেস্ক:

এক স্ত্রীর দুই স্বামী নিয়ে সিলেটে তোলপাড় চলছে। এ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হলেও পুলিশের হাত থেকে ফসকে গেছেন নারীর প্রথম স্বামী দাবিদার ব্যক্তি। তবে দ্বিতীয় স্বামী ও স্ত্রীকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। জানা যায়, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্দার থানার শাহজাহান মিয়ার মেয়ে আইরিন সুলতানাকে (৩৫) ১৯ বছর আগে বিয়ে করেন চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি থানার বাদিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. খোকন মিয়া (৪৫)। বিয়ের পর তাদের চার সন্তানের জন্ম হয়।

একপর্যায়ে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সিলেটে আসেন। পরে ২০১৯ সালে যান মালদ্বীপ। স্বামীর অবর্তমানে সুলতানা সিলেটে একটি রেস্টুরেন্টে বাবুর্চির চাকরি করা কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার কাউয়াদি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কবির হোসেনের (৩৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ১৫ মাস আগে তারা সিলেটে কোর্ট ম্যারেজও করে ফেলেন।

এদিকে, স্ত্রী চলে যাওয়ার খবরে দেশে ফিরে হন্য হয়ে সুলতানাকে খুঁজতে থাকেন খোকন। অবশেষে গত বুধবার বিকাল ৫টায় মহানগরের লামাবাজারস্থ আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনে সুলতানাকে পেয়ে যান তিনি। এসময় সুলতানার বর্তমান স্বামী কবিরও সঙ্গে ছিলেন। এসময় তিনজনের মাঝে বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি ও স্ত্রীকে নিয়ে টানাটানি হয়। পরে খোকন ও তার সঙ্গীরা এ দু’জনকে ধরে শাহজালাল উপশহরে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় খোকন সন্তান ও তার বোনকে নিয়ে থাকেন। পরে খোকন বিষয়টি নিয়ে সিসিকের ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকীর দ্বারস্থ হন। লাকি পরে এ তিজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এদিকে, শাহপরাণ থানাপুলিশ এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে মূল ঘটনা কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায়। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তিনজনকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়। তবে এসময় খোকন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সটকে পড়েন। পরে সুলতানা ও কবিরকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সারাদিন গড়িয়ে গেলেও খোকনের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি কিংবা তিনি থানায় এ দু’জনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও দায়ের করেনি। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সুলতানা ও করিবরকে আদালতে প্রেরণ করে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ওই নারীর প্রথম স্বামী দাবিদার ব্যক্তি বুধবার রাতেই শাহপরাণ থানার সামন থেকে সটকে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন তার কোনো খোঁজ নেই। কোনো অভিযোগও দায়ের করেননি। শেষ পর্যন্ত বাকি দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top