সকল মেনু

২ সন্তানসহ ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেওয়া গৃহবধুর স্বামী গ্রেফতার

হটনিউজ ডেস্ক:

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই শিশু সন্তানসহ নিহত গৃহবধুর স্বামী রাশেদুজ্জামানকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দিনগত রাতে পাটগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে রেলওয়ে থানা পুলিশ।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই নিহত সুমি আক্তারের বাবা আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে আত্নহত্যার প্ররোচনার দায়ে রাশেদুজ্জামানের নামে মামলা দায়ের করেন।

এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলরুটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ঘুন্টি নামক এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ের মৃত্যু হয়। পরে এদিন সন্ধায় আহত ছেলেও মারা যায়।

নিহতরা হলেন- উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের রাশেদুজ্জামানের স্ত্রী সুমি আক্তার (৩২), তার মেয়ে তাজমিরা তাবাসসুম তাসিন (৭) ও ছেলে তৌহিদ (২)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশায় করে বুড়িমারীর দিকে যাচ্ছিলেন সুমি আক্তার। এ সময় ঘুন্টি নামক স্থানে অটোরিকশা থেকে নেমে পাশের লালমনিরহাট বুড়িমারী রেললাইনে যান তিনি। পরে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনের সামনে ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপ দেন সুমি। এতে ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই সুমি ও তার মেয়ের মৃত্যু হয়। আর তার ছেলে তৌহিদ আহত হয়।

স্থানীয়দের খবরে পাটগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের একটি দল সেখানে গিয়ে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে এবং আহত শিশু তৌহিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তৌহিদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় আহত শিশু তৌহিদের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, পরিবারিক কলহের জেরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে আত্নহত্যা করতে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন সুমি আক্তার।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই লালমনিরহাট রেলওয়ে থানায় আত্নহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সুমির স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় রাতে পাটগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তায় রেলওয়ে থানা পুলিশ সুমির স্বামী রাশেদুজ্জামানকে গ্রেফতার করে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, পরিবারিক কলহের জেরে সুমি আত্নহত্যা করেছেন দাবি করে নিহতের বাবা রেলওয়ে থানায় মামলা করেছেন। সে মামলায় সুমির স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

লালমনিরহাট রেলওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top