সকল মেনু

দুই তরুণীর সঙ্গে প্রেম সোহাগের, জেসিকাকে হত্যা করে নাটক

হটনিউজ ডেস্ক:

জেসিকাকে হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের কাছে আটক আদিবা ১৬৪ ধারার স্বীকারোমুক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) মুন্সীগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর ওসি জামালউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে পঞ্চসার এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে বুধবার রাতে জবানবন্দি দেন তিনি।

আটককৃত ব্যক্তি উপজেলার পঞ্চসার ইউপি সদস্য জাহিদ হোসেনের মেয়ে আদিবা আক্তার (১৯)।

নিহত ব্যক্তি সদর উপজেলার সাতানিখিল এলাকার প্রবাসী সেলিম দেওয়ানের মেয়ে জেসিকা মাহমুদ। তিনি মুন্সীগঞ্জ শহরের কোটগাঁও এলাকায় তার পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ও এভিজেএম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে জেসিকার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই মো. জিদান।

স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, জেসিকা ও আদিবার সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় রহমানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে আদিবাকে বিয়ের পরিকল্পনা করে বিজয়। পরে বিষয়টি জেসিকা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপরই জেসিকাকে খুনের পরিকল্পনা করেন আদিবা ও বিজয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আদিবার যোগসাজশে জেসিকাকে বাসায় ডেকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বিজয়।

এদিকে স্কুলছাত্রী জেসিকা ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে নাটক সাজান তারা। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিজয় তাদের বাড়ি থেকে জেসিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ সময় জেসিকার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে চিকিৎসক। পরে ঢাকা যাওয়ার পথেই মারা যায় জেসিকা।

নিহতের বড় ভাই জিদান অভিযোগ করে জানান, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিজয় ফোন দিয়ে জানায় আমার বোন হাসপাতালে আছে। জেসিকা নাকি বিজয়দের বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গেছে। পরে আমি দ্রুত হাসপাতালে এসে অ্যাম্বুলেন্সে বোনকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হই। পথিমধ্যে জেসিকা মারা যায়। আমার বোন জেসিকা কীভাবে তাদের বাসার ছাদে গেল? ওরা আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে বাসার ছাদে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলেছে। পরে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার নাটক করছে’।

এ বিষয়ে ইন্সপেক্টর ওসি জামাল উদ্দিন জানান, আটককৃত আদিবা মুন্সীগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক ‌জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top