সকল মেনু

বরেন্দ্র অঞ্চলেও হবে কমলার চাষ

orange-120131003045641 রাজশাহী,অফিস, ৩ অক্টোবর:  পাহাড়ের সুস্বাদু ফল কমলা। সাধারণত চাষ হয় পাহাড়ি অঞ্চলেই। সুখবর এই যে শুধু পাহাড়েই নয়, কমলা এখন বরেন্দ্র অঞ্চলেও চাষ হবে। এমন সম্ভাবনার দিকটি গবেষণা করে বের করেছেন রাজশাহী ফল গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা। তবে পাহাড়ি অঞ্চলের কমলার সঙ্গে বরেন্দ্রের লাল মাটির কমলার স্বাদে ও আকারে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের ওপর নির্ভর করে এই ধরনের পার্থক্য হতে পারে বলে গবেষকরা মনে করছেন। রাজশাহী মহানগরী থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে চৌদ্দপাই এলাকায় প্রায় ২২ একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে ফল গবেষণাগার। বরেন্দ্র অঞ্চলে ভালোমানের কমলা চাষের জন্য এ গবেষণাগারে দীর্ঘসময় থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন ফল গবেষকরা। অনেক গবেষণার পর ২০১১ সালে এখানে অর্ধশতাধিক কমলালেবুর চারা রোপণ করা হয়। প্রায় দুই বছর পরিচর্যার পর এবছর গাছগুলোতে ফল ধরেছে। গাছগুলোর উচ্চতা এখন প্রায় তিন ফুট। রাজশাহী ফল গবেষণাগারের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে তারা রাজশাহীতে কমলালেবু চাষের চেষ্টা করছেন। এবার সফলও হয়েছেন। তবে পাহাড়ি অঞ্চলের কমলার সঙ্গে এখানকার কমলার রঙ ও স্বাদের পার্থক্য রয়েছে। মূলত মাটি এবং আবহাওয়ার কারণেই এই পার্থক্য হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, এক একটি কমলা গাছের জন্য বছরে দুই দফায় সার প্রয়োগ করতে হয়। কমলালেবুর গাছ বছরে একবারই ফল দেয়। গাছগুলোতে ফুল আসে মার্চ মাসে। ফুল আসার এক মাস আগে ফেব্রুয়ারির দিকে প্রতিটি গাছে গোবর, ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশ, দস্তা এবং বরিক পাউডার দিতে হবে। আবার ফল পাকার এক মাস আগে সেপ্টেম্বরের দিকে সম পরিমাণ সার প্রয়োগ করতে হবে। অক্টোবরে গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা যাবে। রাজশাহী ফল গবেষণাগারের সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাসান ওয়ালিউল্লাহ জানান, কমলা গাছের এই চারাগুলো গাজীপুর ফল গবেষণাগার থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। গাছের বয়স তিন বছর হলে কলম বাঁধা যায়। আর কয়েক মাস পরেই এই গাছগুলোতে কলম বাঁধা যাবে। তারপর হয়তো কমলালেবুর চারা গাছ নগরীর বাজারে ও বিভিন্ন নার্সারিতে পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বৃহত্তর রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে কমলালেবুর চারা সরবরাহ করা হবে। কৃষকদের মধ্যে কমলালেবুর চারা ব্যাপকভাবে পৌঁছলে এবং এ ফলটির চাষ হলে এ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top