সকল মেনু

চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক রণেশ মৈত্র

হটনিউজ ডেস্ক:

ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবং পাবনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক রণেশ মৈত্র মারা গেছেন। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩টা ৪৭ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

রণেশ মৈত্র স্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা পূরবী মৈত্র, দুই ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, তার সন্তান অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি পৌঁছানোর পর পারিবারিক সিদ্ধান্তে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।

সাংবাদিক রণেশ মৈত্র ১৯৩৩ সালের ৪ অক্টোবর রাজশাহী জেলার নহাটা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া গ্রামে। বাবা রমেশ চন্দ্র ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

তিনি ১৯৫০ সালে পাবনা জিসিআই স্কুল থেকে তৎকালীন ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৫৫ সালে পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে আইএ এবং ১৯৫৯ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৫১ সালে সিলেট থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক নওবেলাল পত্রিকায় সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি তার। এরপর কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সত্যযুগে এবং পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে দৈনিক সংবাদে যোগদান করেন তিনি।

১৯৬১ সালে ডেইলি মর্নিং নিউজ এবং ১৯৬৭ সাল থেকে ১৯৯২ পর্যন্ত দৈনিক অবজারভারে পাবনা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করেন রণেশ মৈত্র। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে দি নিউ নেশনের মফস্বল সম্পাদক এবং ১৯৯৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত দি ডেইলি স্টারের পাবনা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন তিনি। এরপর অবসর নিয়ে একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে দেশের শীর্ষ পত্রপত্রিকায় কলাম লিখে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।

সাংবাদিক রণেশ মৈত্র জীবনভর দেশের অসহায়, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। তার মৃত্যুতে পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ পাবনার সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top